কাশ্মীরি কবিতা ।। কমল জিৎ চৌধুরী ।। অনুবাদ ।। রাখী সরদার



হিন্দির বিশিষ্ট তরুণ কবি কমল জিৎ চৌধুরী। তিনি ১৯৮০ সালের ১৩ই আগস্ট জম্মু কাশ্মীরের সাম্বার কালী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হিন্দি কা নমক’ ২০১৬ সালে দখল পাবলিকেশন দিল্লী থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ‘অনুনাদ স্মমান-২০১৬’ দ্বারা সম্মানিত। ‘মুঝে আইডি কার্ড দিলাও’ গ্রন্থটির সম্পাদক হিসাবে কমল জিৎ চৌধুরী বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করেন। এটি জম্মু কাশ্মীরের ১৫ জন সমসাময়িক কবির কবিতাসংকলন। তিনি একজন প্রখ্যাত সমালোচকও। তাঁর কিছু কবিতা ওড়িয়া, মারাঠি ও বাংলা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। হিন্দি থেকে তাঁর তিনটি কবিতার অনুবাদ করেছেন রাখী সরদার

 

গাছের ভাষা

রৌদ্রধোয়া পাতায়

শরীর জুড়ে দীপ্ত শ্যামলিমা

 

আমি শুধুমাত্র নিজের সম্পর্কে

বলছি না

 

যতক্ষণ পর্যন্ত—

রসসিক্ত ভালবাসা এবং শাখায়

শাখায় পাখির আনাগোনা থাকে

ততক্ষণ কোনও পোকা গাছকে স্পর্শ

করতে পারে না।


 

ভালবাসার সৌন্দর্য

ভালবাসায় যেরূপ

সান্ধ্য চাঁদ ফুটে ওঠে নির্জন পাতার

আড়াল থেকে এবং ছড়িয়ে পড়ে সবুজ

মাঠের ভিতর

 

ভালবাসায় যেরূপ

সারারাত গমের তীক্ষ্ণ রোঁয়া

বিঁধে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা হয়

 

ভালবাসায় যেরূপ

নিজ জাহাজ যদি ডুবেও যায়

তথাপি স্বকীয় উজ্জ্বলতা কখনও

মুছে যায় না।

 

 

চিঠিগুলো

ফোনে চিঠি লেখা হল

ফোনে চিঠি বোঝা হল

ফোনে চিঠি পড়া হল

 

আলমারি খুলে একদিন দেখলাম

শুধু গাঢ় কুয়াশায় ভরা…

 

পুনরায় ডায়াল করলাম

আবারও ভাবলাম চিঠির কথা

কিন্তু কিছু নম্বর এবং

কিছু মানুষ

বদলে গেছে

 

এমনকি

পায়রাও মরে গেছে।

 

 

রাখী সরদার। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্য নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে পেশায় শিক্ষিকা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ খয়েরি কেরকেটা (২০১৮), জল ছুঁয়েছে কৌশধ্বনি (২০১৯), শস্য ভেজা চোখের দোহাই (২০২১), বাদামি চুলে স্বপ্ন সনেটগুচ্ছ (২০২১)


এই লেখকের আরও লেখা...

মঙ্গলেশ ডবরালের কবিতা

তোমাকে লেখা কবিতা


Post a Comment

4 Comments

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. খুব ভাল লাগল । মূল কবিতার ভাব অনুদিত ভাষায় শব্দের অলঙ্করণে স্বকীয়তা বজায় রেখে আকর্ষণীয় মাত্রা যোগ করেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

      Delete
  3. যতক্ষণ পর্যন্ত—

    রসসিক্ত ভালবাসা এবং শাখায়

    শাখায় পাখির আনাগোনা থাকে

    ততক্ষণ কোনও পোকা গাছকে স্পর্শ

    করতে পারে না।

    ReplyDelete