আবার বৃষ্টি হবে
এই সেই পৌঢ় দুপুর। হলুদ পোশাকে হরিণের
সবুজবৃক্ষ ছুঁয়ে অবাধ্য শ্যামলাকন্যা এখানে
ঘোমটা খোলে। আম্মার হাঁসগুলো টের পায়-
গাছপাতায় অবিশ্রাম সংঘাত,সমুদ্র উঠে আসে
সন্ধ্যাবেলার মতো;মনে হয় কোনো এক চুল
আঁচড়ানো মিলনচিৎকারে বরফের রাজহাঁস-
সঘন আকাশের ঠাণ্ডা হিম গন্ধমের বৃষ্টিজল
মাছের মতো ভেসে ওঠে। স্রোতে-জিহবা নাড়ে
ঘরের নাগালে ঋজু হওয়া পাইন গাছ।
এই শহরে আজকাল তোমাকে ভাবতে কেবল
একটা নীলাভ শীতল অন্ধকারে ক্রমশ পিপাসা
লাগে, বিরুদ্ধ বাতাসে দ্বন্দ্ব ছড়ায়-নিজনাম-
আর জলীয় গানের ভেতরে স্বপ্ন নেচে ওঠে
আজ বৃষ্টি হবে। চলে এসো-স্নানে বাষ্পীত হব
স্নিগ্ধ দেবদারু জিহবার বিনম্র বায়োস্কোপে!
জলপাই মেঘ
চারা মানুষের কলরব-হাতের মুঠোয় জড়ায়া
ওঠে। হেমন্ত ছড়ানো মদোতীর্ণ ঘাস-
বিকেল মেলে ধরে। তাতে লেগে আছে পাকা
পেয়ারার গন্ধ। সেসব নীল গুঞ্জন বিবস্ত্র পথে
খসে পড়ে।
মনে হচ্ছে ঘাস খাওয়া ঘোড়া তাতার ঘুমে
ঝরতে গেছে। আজ রাজহাঁসের দিন
এখানে ফিরেছে মেয়েদের নাভি থেকে ঝরা
জীবনের কথা। একে অপরের কানে তোলে
অনুচ্চারিত ফসিল। দুলে ওঠে জলপাই মেঘ-
দূর থেকে চশমার কাচে লাগে নীল কল্পনা
বোধহয় কোনো শীতে আটকে পড়া শিশির
পৃথিবীর রূপালি ফুলে ঢুকে পড়েছে।
জলবৃষ্টি
জানালার ওধারে অদূরের হিজল গাছ
মধ্যরাতের এক নকশাল হাওয়া এসে
মৃত জোনাকির ছায়া তলে ক্ষয়ে যাচ্ছে
একটা বিস্ময়চিহ্ন,দেখতে আকাশ, মেঘ-
বৃষ্টির সঙে তোমার ছায়া ঘুরে বেড়ায়
তুমি ভিড়ে যাচ্ছ জলের ভেতর;
এই রাতে-পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ
গাছগুলোর পিঠাপিঠি পলাতক
শাদা ঘোড়ার পাশে
অন্যরা সব একে অপরের বুকেপিঠে
দোল খাচ্ছে। ক্রীতদাসী রাত, জলবৃষ্টি!
এই লেখকের আরও লেখা...
0 Comments