।। সদৃশ্য ।।
লালবাতির সাদা এ্যাম্বুলেন্স
কান্নায় মাতিয়ে যাচ্ছে কেবল—
উদিত শহরে-ক্ষত নিয়ে
জানালার সিক ধরে ওড়ে
সবচেয়ে ভাষাহীন নগদ দৃশ্য
শৈশব চুরি হয়ে যায়
অতিথি পাখির মতো;
প্রত্যেকদিন, প্রান্ত বদলে
হলুদ পাতা শ্বাস নিচ্ছে।
অথচ কেন জানি-কান্না
বেরুচ্ছিল না, ব্যথা জমে—
আগত শ্বাস হ্রদে এই সান্ত্বনা
প্রায় সারিবদ্ধ নিঃসাড় তালগাছ।
।। দগ্ধ সময়ে সে আমি ।।
অনেক শুনেছি তাঁর কথা, এই দগ্ধ সময়ে
মনে পড়ে আজ—
কাকতাড়ুয়া বসন্ত থেমে গিয়ে
ঠুনকো দুপুরে ক্লান্ত দেখিয়েছিল
অনাহূত পথ, কেবল-ধূলোর দেরাজ খুলে
উড়েছিল এক দীর্ঘ ঠিকানা; সে আমি!
।। সন্ধ্যার আগে ।।
সুবর্ণ নীল আকাশ গল্প-উপন্যাস লেখে
একটি পাখি বুকের ভেতর
ডানা সাজাতে সাজাতে প্রথম উড়ছে
শঙ্খচিলের মতো চোখ টানিয়ে
অক্সিজেন টুকরো টুকরো করে—
পৌষের মাঠ খুঁড়ে, জন্মতন্ত্র মাংস
কঙ্কালে সকাল হতে সকালের কাছে
সন্ধ্যার আগে, পুরনো গাছের মুখোমুখি সে—
।। লাল চা ।।
তোমার উষ্ণ ঠোঁটের ছায়ানীড় গহিনে
প্রতিটি বিষাদের স্মৃতিকাতরতা
জেগে আছে—চুমুক, সম্মতিপত্র—
কাঁচকাপে সাজানো তুমি-শরীর;
খরুচে সন্ধের ঘড়িকাঁটায় অঙ্কুরিত জীবন!
0 Comments