দূতাবাসে ফিরে এই কথাটা বলব ।। টিপু সুলতান

 


এই সফর ছিল ক্যালেন্ডারের পাতায়

 দু পা সামলে চলা শরীর কোনো দিন বুঝতে দেয়নি

আমার একটা ক্লান্ত ছিল।অথচ এই সফর বেড়ে

উঠছিল দ্রুত বারতলা ফ্ল্যাটের সমান।ওয়াক ওয়ের

হলুদ টাইলস ধরে একটা হুইলচেয়ার চেপে অবসাদ

ফিরছে।কোনো একটা শিশির ফোঁটার মতো কাঁচা

ঘাসের গ্রন্থ ডগায়।আলাদা হয়,ফিতে কাটা ক্যাসেটের

গান-টিটকারি কাটে টম এণ্ড জেরির পাতাবাহারে

কুশোর শিশু,ভাঙা গলা...

মৃদু সব হাততালি গুছিয়ে ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো

এই সব মোচড়ান ক্রিমরোল বিস্কুটে জমে যাচ্ছে

ছাদবিহীন কল্পনা-পুরো বাড়িটার দরজায় যমজ বৃষ্টি

তোমাকে কিছু বলব বলব করে আজ অবধি

মৌসুমি মৃত্যু দেখা হয়নি।মৌসুমি মৃত্যুর ভেতরে দু-

একটা শালিখ আসত,ভাত ছড়ানো উঠানে...

কাছের ঘুম,নিকট প্রতিবেশী এত সারিবদ্ধ বাতাস

শাদা পাঞ্জাবি ক্যালেন্ডার করা আলতো ভাঁজ উড়ছে।

তারপর...

 

 

সময় এভাবে যায়

 

সময় এভাবে যায়।তুমি শেখোনি,কেমন হবে

সমগ্র প্রাণের আনন্দ,স্থলে-সবিস্তর ব্যলকনি

থেকে প্রায় টালিঘর এগোনো-শিরীষের বন-

অন্ধকার শুঁকিয়ে চোখের ওজন নেমে যাচ্ছিল

এন্তার নগরে বিশেষ সুপণ্ডিত ছায়া,পুস্তক অব্ধি;

কেউ বাঘ হচ্ছে!কেউ হরিণ অথবা জঙ্গল-

কী ভান,লোকালয়ে ঈর্ষার বেড়াল

দূরের খুইয়ে ফেলা চাঁদ যেন,সমুদ্র ধূলিঘরে-

মাছগুলোর পিঙ্গল কাঁটা আর মাংসে গাঁথা...

ভেসে ভেসে উধাও হচ্ছে টেরিয়ে দেখার মতো;

 

তেত্রিশবার পৃষ্ঠা ওল্টাতেই সহজ শিরোনাম

কী এক আনন্দ,মর্ত্য কাহিনি-

স্নায়ুর ভেইন কাঁপাচ্ছে কেউ,সখিদের চুলে

মেহেদি রং আর ক্ষত সেরে ওঠানো

অষ্টাদশী শরীরে ডেটলের গন্ধ,আধা বিভ্রমে

শোনা যায়-নলকূপ হতে সমুদ্র,গোসলের শব্দ!

 

 

দূতাবাসে ফিরে এই কথাটা বলব

 

মুদ্রার সর্বশেষ সমৃদ্ধ নাচ,আজও রুপসী নারীর মতো 

প্রসারিত হতে হতে সকলের ভেতরে রোজ নতুন স্বপ্ন দেখায়...

রাত্রিটা কেবল অকল্পনীয়,চুপ করেও চঞ্চল হয়ে ওঠে

জাগছিল বাদামের বিচি,টেবিলে;সিদ্ধ ছোলা-চানাচুর

যেভাবে পাশ কাটিয়ে প্রথম নীরবতা ভাঙে-হাতে হাতে

খুব মনে হচ্ছিল,এলাম যদি-পাখির জামা খুলে যেমন

স্নিগ্ধ রাত্রির জিরাফ উঁচু নগর নিঙড়ে,বহুদিন পর-

পূর্ণদৈর্ঘ্য মাঠ অপেক্ষা করছে।ছেলেপুলের ক্লান্ত নেই...

বাড়িটার উঠানে লাল মোরগ,ভোর হলে আলো ভাসে

বিলুরুবিনের মতো পাকাধান, যেমন দেখতে ছিল শৈশব,

নতুন জামার মতো; এখনো দিনগুলো ফেঁপে ওঠে। 

কোনো সুন্দর এবং অধৈর্য আনন্দ নিকটে ঢালু হইলে 

একসঙে যমজ কায়দায়–যেন বাদুড় উড়ছে

পাকা সফেদার রত্নভ্রমর ঘ্রাণ নিয়ে ব্যাভিচার ছুঁয়ে ঝরে,

শাদা পোশাকের পকেটে হাই তোলানো ঋতুস্রাব–

আমাদের ব্রিজটাউন দেখতে হবে, আর মুদ্রার পিঠে ছবি সাঁটানো...


এই লেখকের আরও লেখা... 

সন্ধ্যার আগে ও অন্যান্য ।। টিপু সুলতান

Post a Comment

0 Comments