জুলাই বিপ্লবের কবিতা ।। পলিয়ার ওয়াহিদ

 


।। ১২ ।।

খুনির বিচার চাই

হাসিনার ফাঁসি চাই

কাদের হারায়ে যায়

হাছান লুকায়ে যায়

আরাফাতে পালায় পালায়

ক্লান্তিতে ঘুমাতে পারি না

শাসনের জ্বালায়

আইনের ঠেলায় ।

ডামি এমপিরা কই?

মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রি কই?

খেলা হবে বলে

কাদের শামীম কই?

পালাব না’ বলে বলে

গলা উঁচু করে চলে

চরম মূল্য দেবে ইনূস

কে চালাবে দেশ

কার হাতে ছাড়ব চ্যুজ

নতুন বাংলাদেশ ।

পিলখানা কমিশন

শিক্ষা স্বাস্থ্য ধন

ধীরে ধীরে সব কিছু

গড়ব করেছি পণ

গরিবের রক্তে কেনা

এলিটের নেই দেনা

রক্ত লাগলে আরও

দেব মণকে মণ ।

তবু আর ছাড়ব না

স্বপ্নের জাল বোনা

আমরা গড়ব স্বদেশ

সকলের বাংলাদেশ

ভুলগুলো ফুল করো

দুঃখেরা জ্বর জ্বর

কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে দেব

নইলে সবাই শেষ ।

মরে যদি যেতে হয় মরব

লড়ে যদি যেতে হয় লড়ব

চলবে না নতজানু আর

মনে ও মগজে প্রিয়

ধরে রেখো এইটুকু ধার ।

রক্তের সাথে হলে গাদ্দারি

বিচারের নামে যদি মাদ্বারি

সব কিছু মনে রাখা হবে

শব নিয়ে শহিদেরা সবে

শহিদের স্বজনের মুখভারি

নাটকের চরিত্রেরা সারি সারি

মানব না মানব না গাদ্দারি ।

।। ১৩ ।

জুলাইয়ে বেঁধেছি নিয়ত

নিয়তিতেও জুলাই

তোমাদের ভুলবো না

ও শহিদি ভাই।

আমি আমার মুখ

ভুলে যেতে চাই।

তোমরা ফিরবে আবার

এ কথা নয় মিসে

শত্রুরা লেলিয়ে আছে

আমাদের পিছে ।

আমি আমার মুখ

ভুলে যেতে চাই।

আমরাও আসছি পিছু

ফের নামিয়ে জুলাই

মঞ্জিল মাকসুদ একটিই

শহিদি মরণ চাই।

আমি আমার মুখ

ভুলে যেতে চাই।

।। ১৪ ।

আমাকে সবাই চেনে

রক্তইতিহাস কেনে

আমি কিনেছি জুলাই

হাজারো শহীদী মুখ

ঘরে ফেরে শুধু দায়

কত কত রাত দিন

কত শত প্রাণ ঋণ

পালিয়েছে ডাইনিটা

তবুও ভারত-বন্ধু

হাসিনার পা চাটা

খুনিরা পাবে না ক্ষমা

তাদের কুকৃর্তি জমা

শালাগুলি ও গাদ্দার

ব্যথা তো সেই মা বোঝে

হারিয়েছে পুত্র-কন্যা যার

আমরা জেগেই আছি

শহীদের পাশাপাশি

রাষ্ট্রের পাহারাদার

ডাইনির ক্ষমা নেই

কখনোই ভুলব না

গুলি ও গাদ্দার!

 

।। ১৫ ।। 

রঙ নিইয়া ভাইব না বোন

এইটা লবণ পানি 

রক্ত ছাড়া যায় না লেখা 

ইতিহাস বদলানি

তোমার মাকে বইলা দিও 

মধুর ব্যথার গ্লানি

তুমি না হায় দাঁড়িয়ে আছ

ঝুইলা ছিল ফেলানি 

নির্যাতনে আকাশ বাতাস 

কাঁদছে আগুন মাটি

বঞ্চিতদের রক্ত ছাড়া 

হয় না পৃথিবী খাঁটি

Post a Comment

0 Comments