প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক পার হলেও বেসরকারি টিচার্স ট্রেইনিং (টিটি) কলেজের প্রশিক্ষণের মানের প্রশ্নটি আজও পিছু ছাড়েনি। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মান বজায় থাকার কথা বেশি শোনা যায় সেখানে বাংলাদেশে একমাত্র বেসরকারি সেক্টর যেখানে প্রশিক্ষণের মানের প্রশ্নে বিতর্ক রয়েই গেছে। কেন এই প্রশ্ন বা কেন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রশিক্ষণের মান রক্ষা করতে পারছে না তা জানতে একটু গোড়ার দিকে নজর দেয়া যাক।
দেশে প্রায় শ'খানেক বেসরকারি টিটি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি কলেজে গড়ে ১০০টি আসন নির্ধারিত আছে। একটা সময় এই আসন সংখ্যা পূর্ণ হলেও বিগত ১০ বছর যাবত কোনো কলেজের আসন পূর্ণ হয় না। এমনকি সরকারি কলেজের সিংহভাগ আসন খালি থাকে। যদিও তাদের আসন পূর্ণ বা খালি থাকায় কলেজের কিছু আসে যায় না। অধিকাংশ বেসরকারি টি টি কলেজে গড়ে যদি ১০০শ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হয় সেমিস্টার শেষে পরীক্ষা দেয় ৭০ থেকে ৮০ জন। কখনো কখনো এই ঝরে পরা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা চল্লিশ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রতিটি কলেজ শিক্ষার্থী থেকে বছরে টিউশন ফি বাবদ পেয়ে থাকে ৭ থেকে ৮লাখ টাকা মাত্র। যার সিংহভাগ চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। অবশিষ্ট টাকায় একজন অধ্যক্ষের বেতনও হয় না বছরান্তে। বাকি শিক্ষকদের অবস্থা যে কি হয় তা ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন। হাতে গোনা কয়েকটি কলেজ ছাড়া সারাদেশের একই চিত্র। অনেক কলেজে বছরে মাত্র বিশ থেকে ত্রিশ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়–তাদের কলেজ কিভাবে চলে তা সহজেই অনুমেয়। বছরের পর বছর উদ্যোক্তারা ঋণের বোঝা বহন করে যাচ্ছেন কলেজ টিকিয়ে রাখতে। কলেজের এই সীমিত আয় দিয়ে যেখানে কলেজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই দুস্কর সেখানে প্রতিবছর যোগ হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান ধরনের বর্ধিত ফি'র বোঝা।
প্রশিক্ষণার্থী বাবদ কলেজগুলো যা আয় করে তার প্রায় অর্ধেক ব্যয় হয়ে যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার্যকৃত ব্যয়ভার মেটাতে। বিগত ১০ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রেজিষ্ট্রেশন, ফরম পূরণ এবং নবায়ন বাবদ ফি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। সে তুলনায় কলেজগুলোর কোনো আয় বাড়েনি। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকায় কলেজগুলো বাড়তি ফি ধার্যও করতে পারেনা।
সরকারি বেসরকারি টিটি কলেজ মিলে মোট আসন সংখ্যা প্রায় বাইশ হাজার। বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে প্রায় ষাট ভাগ আসন খালি থাকছে। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি। যেখান থেকে সহজ প্রক্রিয়ায় সনদ পাওয়া যায় শিক্ষার্থীরা সেখানেই হুমড়ি খেয়ে পরবে এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ পরিচালনা করে এই খাত থেকে ব্যবসা তো দূরের কথা কলেজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
উদ্যোক্তাদের উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলো আজও টিকে আছে। শিক্ষার্থী বাবদ কলেজগুলো যা আয় করে তা দিয়ে সারা বছরের ব্যয়ভার মেটাতে যেখানে হিমশিম খেতে হয় সেখানে গুণগত প্রশিক্ষণের প্রতি নজর দেওয়া অনেক কঠিন বাস্তবতা। কারণ গুণগত প্রশিক্ষণের জন্য ভালো শিক্ষক প্রয়োজন আর ভালো শিক্ষক পেতে হলে ভালো মানের বেতন-ভাতা দেয়া আবশ্যক। বেসরকারি টিচার্স কলেজগুলোর এই সামান্য আয়ের উপর নির্ভর করে ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যে অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার তা সহজেই অনুমেয়।
আমরা জানি, বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে একাধিক কোর্স থাকে–তাদের আয়ের উৎসও অনেক। কিন্তু বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একটিমাত্র কোর্স, তাও বছরে মাত্র একবার ভর্তি কার্যক্রম চলে। সময় মতো আবেদন করতে না পারলে আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। ততক্ষণে এই শিক্ষার্থী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। এখানের ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় মাত্রায় শিথিল করে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিচার্য বিষয় হলো বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোকে প্রতিযোগিতা করতে হয় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাথে। যেখানে সীমিত আয় দিয়ে কলেজগুলো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হিমসিম খায় সেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকা বাজেট ব্যয় করা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাথে প্রশিক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন করা একেবারেই অযৌক্তিক। কারণ মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হলে শুধু শিক্ষক হলেই হবে না, শিক্ষকদের যুগোপযোগী উচ্চতর ট্রেনিংও নিশ্চিত করে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত উপকরণেরও দরকার হবে।
সরকার প্রতি বছর সরকারি টিটি কলেজের শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে–সেখানে বেসরকারি টিটি কলেজের একজন শিক্ষককেও এযাবত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা পর বিগত বারো বছরে সরকারি টিটিসিতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট বোর্ডসহ নানা ধরনের শিক্ষাপোকরণ প্রদান করা হয়েছে–এখন আর রাখারও জায়গা নেই তাদের। অথচ বেসরকারি টিটি কলেজে এর ছিটেফোঁটা দেয়ারও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
আমরা বারবার এই যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সাথে কথা বলেছি, অনেক আবেদন-নিবেদন চালাচালি করেছি কিন্তু ফলাফল শূন্য। আমরা সর্বশেষ এটাও দাবি করেছি যে, বেসরকারি টিটি কলেজের শিক্ষকদের বিনা ভাতায় হলেও উচ্চতর প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হোক। সামান্য পরিমাণে হলেও প্রশিক্ষণ উপকরণ দেয়া হোক। কারণ আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষক, আমরা যদি প্রশিক্ষণই না পাই, প্রয়োজনীয় উপকরণ যদি সরবরাহ না করা হয় তাহলে মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করব কিভাবে?
যারা গুণগত প্রশিক্ষণের কথা বলেন, তারা একবার ভেবে দেখবেন কি এই আকাশ পাতাল পার্থক্য ও বৈষম্যের মাঝে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে কি উন্নত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা সম্ভব? যারা নানাভাবে বেসরকারি টিটিসি'র প্রশিক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সময়-সুযোগ পেলে বদনাম করেন তাদের কাছেও আমরা ধর্না দিয়ে দেখেছি। তারা কেবল গাছের আগায় পানি দিতে চায় গোড়ায় পানি দিতে কেউ আগ্রহী নন।
এভাবে চললে আশানুরূপ ফলাফল আমরা কখনোই পাবো না। তাই গুণগত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি টিটি কলেজে একাধিক প্রফেশনাল কোর্স চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটো বিষয় নিশ্চিত করা গেলে গুণগত মানসম্পন্ন বিএড ট্রেনিং নিশ্চিত করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এতদ্ব্যতীত এই প্রচেষ্টা করে বিগত দিনে যেমন কোনো লাভ হয়নি ভবিষ্যতেও লাভের আশা অতীব ক্ষীণ। কারণ ক্ষুধার্ত প্রশিক্ষক দিয়ে তৃষ্ণার্ত প্রশিক্ষণার্থীর প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে না।
প্রশিক্ষণের মানের প্রশ্নে আরও একটি অভিযোগ তোলা হয় বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এর বিরুদ্ধে, তারা প্রশিক্ষণার্থীকে ইচ্ছেমতো বেশি নাম্বার দেয়। এই অভিযোগটি সত্য নয়, প্রকারন্তরে অযৌক্তিক এবং মিথ্যা। কারণ কলেজের হাতে যে চল্লিশ শতাংশ নাম্বার আছে তা কোনো প্রশিক্ষণার্থীকে বেশি দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কলেজের অভ্যন্তরীণ নাম্বার আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্ত নাম্বারের মধ্যে যদি বিশ শতাংশ তফাৎ হয় তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে সমন্বয় হয়ে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। তাই চাইলেই কলেজ থেকে কোনো প্রশিক্ষণার্থীকে বেশি নাম্বার দেওয়ার সুযোগ নাই। কেউ যদি ইচ্ছে করে কাউকে বেশি নাম্বার প্রদান করেন তবে তার নাম্বার বির্ধিতাংশেরও বেশি বাতিল হতে পারে। তাই আমরা মনে করি, যারা বেসরকারি টি টি কলেজের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে বেশি নাম্বার দেওয়ার অভিযোগ করেন তারা মূলত বিষয়টি না জেনেশুনেই অভিযোগ করেন–যা আদৌ সত্য নয়।
তবে, একটি জায়গায় বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দুর্বলতা রয়েছে তা হলো-প্রাকটিস টিচিং। সরকারি কলেজের ন্যায় বেসরকারি কলেজগুলো শতভাগ টিপি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারে না। তবে, অনেক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে বেসরকারি টিটিসি সেম্যুলেশনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে সব কলেজ যে সমান দক্ষতা দেখাতে পারে না একথাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। মনিটরিং না থাকায় এই সুযোগ নেয় দুর্বল কলেজগুলো। তবে আমাদের দাবি-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাউশি/আইইআর/নায়েম এর মাধ্যমে যদি প্রাকটিস টিচিং মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা যায় তবে এই বদনামটুকু ঘুচানো সম্ভব হবে। সরকার ইচ্ছে করলেই এই মনিটরিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারেন। আমরা এ বিষয়টিতে নজর দিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার আবেদন-নিবেদন করেছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, এই বিষয়টিতে নজর দিলেই বেসরকারি পর্যায়ের বিএড প্রশিক্ষণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সরকারের নেয়া এসডিজি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
এছাড়াও সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নিয়ে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়, তা অধিকাংশ কলেজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। এখন অনেক কলেজে সপ্তাহে পাঁচ/ছয় দিন ক্লাস হয়, নিয়মিত শিক্ষক কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। মামলা চলছে এমন কিছু কলেজের চিত্র দিয়ে সারাদেশে অবস্থানরত মানসম্পন্ন কলেজের বিচার করা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
বেসরকারি টিটি কলেজে মানসম্মত প্রশিক্ষণ না হওয়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে–এখানে যেসব শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিতে আসেন তাদের অধিকাংশেরই বিনা ছুটিতে বিএড কোর্সে ভর্তি হতে হয়। বিএড প্রশিক্ষণের জন্য স্কুল থেকে কোনো ছুটি তারা পান না। এসএমসি বিএড কোর্সে ভর্তির জন্য মঞ্জুর করেন না। এমন ঘটনাও ঘটে, সারাবছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও ফাইনাল পরীক্ষার আগে প্রধান শিক্ষক ছুটি দিতে রাজি না হওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সরকারি কলেজের ন্যায় যদি আমাদের বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হতো এবং বেতন-ভাতা অব্যাহত থাকত তাহলে বেসরকারি টিটিসিতেও ক্লাসে জায়গা দেয়া যেত না।
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রশিক্ষণার্থী পাওয়ার জন্য প্রতিবছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। যেখানে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রশিক্ষণার্থী কে উল্টো আরও বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। তাই এতো বৈষম্য রেখে সমমানের প্রশিক্ষণ কামনা করা অবাস্তব।
আমাদের প্রশিণার্থীরা ভালো ভালো স্কুলে টিপি করতেও যেতে পারে না। কারণ ঐসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ বেসরকারি টিটিসি'র কাছে মাউশির পারমিশন খোঁজ করেন, মাউশির আদেশ দেখতে চান। যতদুর জানি, মাউশির একটি পুরনো আদেশ আছে যা যুগ যুগ আগের আদেশ হিসেবে বিবেচিত। এখনকার প্রধান শিক্ষকগণ এসম্পর্কে মোটেই ওয়াকেবহাল না। যদি প্রতি বছর টিপির পূর্ব মুহূর্তে একটি করে আদেশ জারি করে দেওয়া হতো এবং তা প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রেরণ করে টিপির নির্দেশনা দেয়া হতো তাহলে আরও মানসম্পন্ন শিক্ষক বেসরকারি টি টি কলেজ তৈরি করতে পারতো।
ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি টিটিসি'র মাঝে নানা ধরনের বৈষম্য বিরাজমান। যা মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরির ক্ষেত্রে বিশাল অন্তরায়। এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন করতে হলে এইসব সমস্যা ও বৈষম্যের দ্রুত অবসান করতে হবে। না হয় কাঙ্ক্ষিতমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা যাবে না। আর কাঙ্ক্ষিতমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা না গেলে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারের সকল আয়োজন ভেস্তে যাবে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরে এমনটা আমাদের কাম্য নয়। আমরা চাই, সরকারি-বেসরকারির মাঝে কোনো বিভেদের রেখা না টেনে বিএড প্রশিক্ষণ এগিয়ে যাবে এবং সবাই মিলে মানসম্পন্ন যুগোপযোগী শিক্ষক তৈরি করে শ্রেণিকক্ষে প্রেরণের মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখব।
লেখক: ড. নজরুল ইসলাম খান
অধ্যক্ষ, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা। সভাপতি, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতি
0 Comments