১
এক কাপ চা কত কিছুরই তো গল্প বলে! গল্প বলতে বলতে মানুষকে অতীতচারি করে দেয়। প্রথমে খুব একটা সাহস পায় নি সোহিনী। সোলো ট্রাভেলিং এর আগে কখনও করেনি সোহিনী। ছোটবেলায় বাবা মা এর সাথে ঘুরেছে। যেমন সবাই ঘোরে। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে গিয়েছে। চাকরিতে জয়েন করবার পর আর কোথাও যায় নি সোহিনী। গত কয়েকদিন ধরে খুব ক্লান্ত লাগছিল সোহিনীর। অফিস মনোটনাস লাগতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত জীবনে অনুভূতি গুলোর ওঠানামা ক্রমশ বাড়ছে। সবেমাত্র একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছে সোহিনী। মনের ভার কাটানোর খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ঘুরতে যেতে সোহিনীর ভালোই লাগত কিন্তু ভ্রমণ পাগল সে কখনই ছিল না। ইদানীং ফেসবুক এ অনেক সোলো ট্রাভেলিং এর কথা পড়েছে সে। সেখান থেকেই এই আগ্রহ তৈরি। একটা হুজুগেই প্ল্যানটা করে ফেলেছিল সোহিনী। সোহিনীর জীবনে এমন একটা ফেজ চলছে যেখানে মানুষ আর ভালো লাগছে না ওর। নিজের সাথে কথা বলতেই বেশি ভালো লাগছে।
দার্জিলিং এ সোহিনী এসেছিল সেই ছোটবেলায়। বাঙালির চিরকালের প্রেম দার্জিলিং। আজ দুপুরে সোহিনী এখানে এসে পৌঁছেছে। আগামী তিনদিন শুধুই একাকীত্ব যাপন। আজকে পাহাড়টা কুয়াশায় ঢাকা। জীবনেরই মতো! চা এর কাপে একটা চুমুক দিল সোহিনী। পাশের টেবিলেই একটি কাপল বসে রয়েছে। হয়ত নূতন বিয়ে হয়েছে । কিছুদিন আগে পর্যন্ত সোহিনী ভাবত সংসার করে সেটল হবে। কিন্তু আজকে কিছুই মনে হচ্ছে না। ওদের দেখে হিংসেও হচ্ছে না। নীলাঞ্জনের সাথে ব্রেক আপ অনেক কিছু শিখিয়েছে সোহিনীকে। সাত বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে মনে একটা স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষত মিটতে সময় লাগে। দুজনেই মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত টা নিয়েছিল। দুজনের জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। সোহিনী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
-বসতে পারি?
সোহিনী ছেলেটির দিকে তাকাল। বয়স সোহিনীর মতই হবে। সোহিনী ঠিক কি বলবে বুঝে উঠতে পারল না। সোহিনী কিছু বলার আগেই ছেলেটি চেয়ার টেনে বসে পড়ল।
-হাই! আমি অনিন্দ্য।
-আমি সোহিনী।
-সোলো ট্রাভেল করছেন?
সোহিনী মাথা নাড়ল। মনে মনে ছেলেটির সাথে কথা বলতে একদম ইচ্ছে করছে না সোহিনীর। ছেলেটি নিশ্চয় বন্ধুত্ব করতে এসেছে। এসব বাচ্চামো এখন আর ভালো লাগে না সোহিনীর।
-আমিও। ব্যাঙ্গালরে থাকি। এখনও ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। অতএব বাড়িতেই রয়েছি। ভাবলাম বেরিয়ে পড়ি। গ্যাংটক, লাভা, লোলেগাও শেষ করে কাল রাতে দার্জিলিং এসেছি। আপনার কি প্ল্যান?
-সোহিনী হাসল। আমি শুধু দার্জিলিং। তিন দিন বাদেই ফিরে যাব। বড়জোড় একদিন সাইড সিয়িং করতে পারি। তার বেশি কিছু ইচ্ছে নেই।
-আপনিও কি আই টি তে রয়েছেন!
-না। পড়াই। একটি কলেজে।
-গ্রেট! আসলে যাদের সাথেই পরিচিত হই দেখি বেশিরভাগই আই টি তে রয়েছে। তাই ভাবছিলাম আপনিও হয়ত আই টি তেই রয়েছেন। কোন সাবজেক্ট?
-অর্থনীতি। ইকনমিক্স।
-ভালো! তো দেশের জিডিপির হাল কিছু বুঝতে পারছেন! মানে কবে আবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে?
-সোহিনী খুব বিরক্ত হল। বেশ তো নিজের সাথে নিজে কথা বলছিল সোহিনী। যে মুহূর্তগুলো চলে গিয়েছে! যে মুহূর্তগুলো আর কোনদিন ফেরত আসবে না পাহাড়ের গভীরতার সামনে বসে সেই মুহূর্তগুলো আরেকবার মনে করছিল সোহিনী। কোত্থেকে উড়ে এসে বসল ছেলেটি!
-না। সেসব নিয়ে ভাববার জন্য তো অনেকে রয়েছেন। সোহিনী বোঝানোর চেষ্টা করল যে সে কথা বলতে অনিচ্ছুক।
-ওকে! আমি বোধ হয় আপনার প্রাইভেট স্পেসে ঢুকে পড়েছি।
-সোহিনী মৃদু হাসল। যাক! অবশেষে বুঝেছে ছেলেটি। ছেলেটি চলে গেল । সোহিনী আবার ফিরে গেল স্মৃতিতে ।
২
ভোরের দার্জিলিং সত্যি অনবদ্য। হোটেলটা ম্যালের খুব কাছে। এর ফলে একটা সুবিধে হয়। যখন ইচ্ছে ম্যালে চলে যাওয়া যায়। এখনও তেমন কেউ ম্যালে আসেনি। পাহাড়ের ঘুম ভাঙছে ধীরে ধীরে।
-এত সকালে! কিছু খুঁজছেন! রেলিং এর ওপর হেলান দিয়ে একমনে পাহাড় দেখছিল সোহিনী। পেছনে দাঁড়িয়ে সেই ছেলেটি। অনিন্দ্য।
-না! এই নির্জনে কি খুঁজব!
-এখানে এলে কত সব অমূল্য জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় ম্যাডাম।
-আমার কথা ছাড়ুন। আপনি কি খুঁজতে এত সকালে এখানে এসেছেন সেটা বলুন!
-শক্তি। আমার অনেক অনেক মানসিক শক্তি প্রয়োজন। খুব দ্রুত। সেটা খুঁজতেই তো এখানে এসেছি।দার্জিলিং পুরনো হয় না জানেন।
-হঠাৎ এত মানসিক শক্তির প্রয়োজন পড়ল যে! যুদ্ধে যাবেন নাকি! সোহিনী হেসে বলল।
-অনিন্দ্য কিছু উত্তর দিল না। একমনে তাকিয়ে রইল পাহাড়ের দিকে।
-কিছু বললেন না যে!
-আমার ক্যান্সার হয়েছে জানেন। সরল ভাষায় বলছি। অ্যাকচুয়াল নামটা আমার ঠিক মনে থাকে না।নিউরোর কেস। কিছু অসুবিধে ছিল। কিন্তু পাত্তা দিই নি। কিছুদিন আগেই ধরা পড়েছে। নেক্সট সপ্তাহে মুম্বই যাব। কেমোর কোর্স শুরু হবে। সেজন্যই বলছিলাম সামনে ভীষণ যুদ্ধ। রসদ তো লাগবে। সেই রসদের জন্যই তো এখানে আসা।
-সোহিনীর গলাটা যেন হঠাৎ শুকিয়ে গেল। কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারল না সোহিনী।
-অবাক হলেন?
-আপনি এই অবস্থায় ঘুরতে বেরিয়েছেন! কথাটা বেশ ধমকের সুরেই বলল সোহিনী।
-জানেন ইচ্ছে ছিল অনেক ঘুরব। অনেক দেশ দেখব। অনেক দেশের মানুষের সাথে মিশব। আমি যাকে বলে বর্ণ ট্রাভেলার। স্বপ্ন ছিল ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলব। আমার অভিজ্ঞতাগুলো সবার সাথে শেয়ার করব। আজকাল তো অনেকেই ইউটিউবকে অলটারনেট কেরিয়ার হিসেবে ভাবছে। আর কোড লিখতে ভালো লাগে না। কিন্তু সময়টা বড্ড কমে এল বোধহয়।
-ছেলেটার ওপর বেশ মায়া হল সোহিনীর। ছেলেটাকে প্রথমটায় যেমন মনে হয়েছিল ও ঠিক তেমনটা নয়। আজকাল তো ক্যান্সার ও ঠিক হয়ে যায় অনিন্দ্য! হাল ছাড়ছেন কেন! এটাও তো একটা সফর।
-অনিন্দ্য একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ঠিক বলেছেন। এই সফর অনেকটা পাহাড়ের অচেনা পথগুলো দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো। কোন বাঁকে যে কি আছে কে জানে! জানি না শেষ পর্যন্ত কি হবে! তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব!
-চলুন একটু হেঁটে আসি!
-আমি অসুস্থ বলেই কি এই অফারটা করলেন সোহিনী? কাল তো এমন ব্যবহার করেন নি!
-কাউকে কি প্রথম দেখায় চেনা যায় অনিন্দ্য! তবে আজ মনে হচ্ছে আপনার সাথে একটু দূর পর্যন্ত হাঁটাই যায়।
-চলুন।
পাহাড়ের পথ বেয়ে এগিয়ে চলল দুজনে। এ রাস্তায় সোহিনী আগে আসেনি। এক দিকে পাহাড়ের খাদ! অন্যদিকে খাড়া ঢাল। মনের সব মলিনতা, ক্ষুদ্রতা দূর হয়ে যায় এমন দৃশ্য দেখলে।
-এই সোজা রাস্তা দিয়ে আপনি চিড়িয়াখানায় যেতে পারবেন । এর আগে এই রাস্তাটায় এসেছেন?
-সোহিনী না বোধক মাথা নাড়ল। আসলে জানেন তো আমিও এক প্রকার ক্রাইসিস থেকেই এখানে এসেছি। জীবনটা কেমন যেন ঘেঁটে গিয়েছে। কিছু আর ইচ্ছেমত হচ্ছে না। যেমন ভেবেছিলাম তেমন হচ্ছে না। এর আগে আমি এভাবে একা কোথাও যাই নি। একটু যেন অস্বস্তি হচ্ছে। এটা কি নর্মাল!
-সোহিনীর কথা শুনে অনিন্দ্য হাঁটার গতি কমাল।
-নর্মাল। তবে আপনাকে কিন্তু এই পরিবেশের সাথে একাত্ম হতে হবে। পাহাড়ের একটা অমোঘ জাদু রয়েছে। আপনি যদি পাহাড়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তবে দেখবেন পাহাড় আপনার সব দুঃখ ভাগ করে নেবে।
-আইটিতে থাকলেও আপনার কথাবার্তাগুলো বেশ কিন্তু সাহিত্যিকদের মতো! লেখেন টেখেন নাকি?
-একটু আধটু! টুকটাক! ফেসবুকে একটা পেজ আছে আমার।
-সোহিনী ভুরু কোঁচকাল।
-ফেসবুকে পেজ! কোন পেজ বলুন তো! না মানে আমি পড়তে ভালোবাসি। লিখতে পারি না। কিন্তু বলতে পারেন আমি একজন নিয়মিত পাঠিকা। নূতন কোন পেজ?
-না। নূতন পেজ নয়। বেশ পুরনো। ছ’বছর তো হল। রাত জাগার ডায়েরি, নাম শোনেন নি! আপনি তো সেই পেজের একজন টপ ফলোয়ার।
-থমকে দাঁড়াল সোহিনী। সে যে কয়েকটি পেজ নিয়মিত ফলো করে তার মধ্যে রাত জাগা ডায়েরি অন্যতম। খুব ভালো ভালো লেখা পড়া যায় এখানে। কিন্তু সেখানে তো লেখে শ্লোক।
-ওই পেজটি আপনার! কিন্তু ...
-শ্লোক আমার মন্দনাম। সবাই সে নামেই ডাকে আমাকে। অনিন্দ্য বসু তো স্কুল কলেজের খাতার নাম।
-সত্যি বলছেন!
অনিন্দ্য ব্যাগ থেকে একটা বই বার করল। বইটি এগিয়ে দিল সোহিনীর দিকে। সোহিনী বইটি নিয়ে পাতাগুলো ওলটাতে শুরু করল। বইটির নাম “আলো আধাঁরের গল্প’’। এক মাস আগেই একটা নামি প্রকাশনী বইটার বিজ্ঞাপন করেছিল। কিনব কিনব করে আর সোহিনীর কেনা হয় নি। বইটির উল্টোদিকে লেখক পরিচিতি দেওয়া। যে ছবিটি দেওয়া রয়েছে সেই এখন সোহিনীর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
-কিনেছেন বইটি? অনিন্দ্য প্রশ্ন করল ।
-সোহিনী না বোধক মাথা নাড়ল ।
-তবে রাখুন বইটি। আমার তরফ থেকে উপহার রইল।
-আমি কিন্তু আপনার লেখার খুব ভক্ত। বইটি যখন উপহার দেবেন একটা সাইন করে দিন। ভালো লাগবে।
-সে পরে করা যাবে। এখন চলুন। আরেকটু হাঁটা যাক।
এই ভারচুয়াল দুনিয়ায় কে যখন কত কাছে চলে আসে সেটা বোঝা যায় না। মন খারাপের রাতগুলোতে এই পেজের গল্পগুলো যেন খুব কাছের কোন মানুষের মতো মাথায় হাত রেখে ঘুম পাড়িয়ে দিত সোহিনীকে। মনটা যখন ভারি হয়ে থাকত তখন গল্পের চরিত্রগুলোই যেন সোহিনীর বন্ধু হয়ে উঠত।সেই চরিত্রগুলো যে তৈরি করেছে সেই হাঁটছে এখন সোহিনীর পাশে। সোহিনীর বেশ অদ্ভুত লাগছে গোটা ব্যাপারটা।
-আসলে জানেন লিখতে আমি বরাবর ভালোবাসি। অনেক জায়গায় লেখা পাঠিয়েছিলাম। কেউ ছাপায় নি। তাই ভাবলাম ফেসবুকে লিখি। অন্তত কিছু মানুষ তো পড়ুক। দেখলাম ক্লিক করে গেল ব্যাপারটা। আপনারা সবাই পড়লেন। প্রতিদিন কত প্রশংসা করেন আপনারা। আর কি চাই বলুন তো!
-আপনি জানেন আপনি কত মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন!
-কমেন্টগুলো থেকে বুঝতে পারি। আরও উৎসাহিত হই। আসলে আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখি সেগুলো আমাদেরই আটপৌরে জীবন থেকে নেওয়া। সেজন্য হয়ত আপনারা বেশি রিলেট করতে পারেন।
-এত ফলোয়ার আপনার তাও এই আত্মপ্রচারের যুগে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন কেন?
-হো হো করে হেসে উঠল অনিন্দ্য।
-বাপরে! আমার ওসব প্রচার একদম ভালো লাগে না। এই আছি এই নেই! আমাদের জীবন বলতে এতটুকুই। কি হবে এত দম্ভের, প্রচারের পেছনে ছুটে। তার চেয়ে যে মুহূর্তগুলো পেয়েছি সেগুলো বরং সম্পূর্ণ ভাবে বাঁচার চেষ্টা করি। আপনি কিন্তু মনে হচ্ছে আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন!
-সোহিনী মৃদু হাসল।
-এবার আপনার কথা একটু বলুন! আমি তো অনেকক্ষণ বকবক করলাম। আপনাকে দেখে কিন্তু মনে হয় না যে আপনি হ্যাবিচুয়াল ট্রাভেলার! নিশ্চয় কিছু ঘটেছে আপনার জীবনেও।
-আলাদা কোন গল্প নয়! ব্রেক আপ, অফিস নিয়ে একঘেয়েমি, অগোছালো জীবন সবের ভিড়ে ক্রমশ নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। নিজেকে একটু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি।
-খুঁজে পেলেন? নিজেকে?
-সোহিনী কোন উত্তর দিল না।
চা খাবেন? এখানে একটা রুফটপ ক্যাফে আছে। গতকাল দেখেছিলাম। চা খেতে খেতে দিব্যি পাহাড় দেখা যায়।
৩
অনিন্দ্যর সাথে সকালটা বেশ ভালো কাটল সোহিনীর। অনিন্দ্য আজ বেরিয়ে গেল। কিছুদিন শিলিগুড়িতে থেকে মুম্বই চলে যাবে। স্টেজ ওয়ান। অনিন্দ্য আত্মবিশ্বাসী রোগটা সেরে যাবে। অনিন্দ্যর লেখাগুলো যেমন সমস্যাকে জয় করে বেঁচে থাকার কথা বলে ব্যক্তিগত জীবনেও অনিন্দ্য ঠিক তাই।হোটেলে ফিরে এসে নিজের রুমের জানালা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে রইল সোহিনী। আগের মতো আর নিজেকে একা মনে হল না। এই যে এই অখণ্ড অবসরে নিজের সাথে নিরন্তর কথা সেও তো একটা আড্ডা । সেটাও তো একটা বন্ধুত্ব। “নিজেকে ভালোবাসলে একসময় একাকীত্ব কেটে যায়” অনিন্দ্য ভুল কিছু লেখেনি।
ঋতব্রত গুহ |
জন্ম ১৯৮৮ সালে ভারতের শিলিগুড়ি শহরে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। চাকরি জীবনের শুরু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। পরবর্তীতেহিউম্যান রিসোর্স নিয়ে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে একটি বিখ্যাত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত। সাহিত্য জগতে প্রবেশ মাত্র ১৭ বছর বয়সে “নির্জনে বসে” নামক লিটল ম্যাগাজিনের সহসম্পাদক হিসেবে। তার লেখা গল্প দেশপত্রিকাসহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কর্পোরেট জীবনের সমান্তরালে চলছে লেখকের সাহিত্যচর্চা। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছেতার লেখা প্রথম উপন্যাস “আফিয়া”। অতি সম্প্রতি সপ্তর্ষি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা গল্প সংকলন “অন্যান্য ওকমরেড”।
এই লেখকের অন্য লেখাঃ বৃদ্ধাশ্রম ।। ঋতব্রত গুহ
0 Comments