ভূতুড়ে আলুটিলা গুহা
শুক্লপক্ষ ডেস্কঃ
আলুটিলা গুহা খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার মূল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্র সমতল থেকে ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় একটি প্রাকৃতিক গুহার নাম। নামে এটি টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বত শ্রেণী। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘মাতাই হাকড়’ বা ‘দেবতার গুহা’ নামে পরিচিত। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকার মুখেই দুটি বট গাছ পরিবেশটাকে শান্ত আর নিবিড় করে রেখেছে। যেন আগন্তুকদের স্বাগতম জানাতেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। গুহাটির দৈর্ঘ্য ৩৫০ ফুট। ব্যাস ১৫-১৮ ফুট। গুহার ভেতরে সব সময় অন্ধকার থাকায় মশাল নিয়ে ঢুকতে হয়। টর্চ নিয়েও ঢুকা যায়। তবে প্রাকৃতিক দুঃসাহসিক একটি অভিযানে যাওয়া হয় বলেই সবাই মশাল নেওটাকেই পছন্দ করে।
মশাল হাতে অভিযাত্রী দল
মূল রাস্তা থেকে মিনিট কয়েক হাঁটা দূরত্বে পাহাড়ি সরু পথ। পাহাড়ে ঢাল ধরে প্রায় আড়াইশত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলেই চোখে পড়বে ছোট একটি ঝর্ণা। এই ঝর্ণাই গুহার ভিতরে পানির উৎস। গুহা মুখে যেতেই গা ছম ছম করা ভূতুড়ে পরিবেশ। শরীর হিম হয়ে আসার জোগাড়। ছমছমে পিরিবেশ হলেও দর্শনার্থীদের জন্য একেবারেই নিরাপদ। সাবধানে পা টিপে টিপে এগুতে লাগলাম। পেছনে কারও একজনে চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘাড় ফেরাতেই দেখি একজন চিৎপটাং! আরও সাবধান হয়ে গেলাম। মাঝামাঝি একটি জায়গায় গুহাটির উচ্চতা এতটাই কম যে বাঁকা হয়ে পাড়ি দিতে হয়। প্রায় ১৫ মিনিট হাঁটার পর বাইরের সূর্যের আলো চোখে পড়লো। গুহার পনের মিনিটে যেন আদিম গুহাবাসী মানুষের জীবনের একটা অনুভূতি পেলাম।
গুহা থেকে সূর্যের আলো
গুহা থেকে বেরিয়ে চোখে পড়লো বিশ্রামাগার ও ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়ালে খাগড়াছড়ি শহরের বেশ খানিকটা অংশ দেখা যায়। দেখা যায় শান্ত সুনিবিড় আকাশ-পাহাড় আর মেঘের মিতালী। দূরে দৃঢতায় অটল দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় সারি। প্রাকৃতিক মোহনীয় সৌন্দর্য অতুলনীয়, হৃদয় মন ছুঁয়ে যায়।
0 Comments