ঋজু রেজওয়ান–একার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ পর্যটক ।। জোবায়ের মিলন

 


কবিকে পরিপূর্ণ বুঝে উঠার সাধ্য কোনোকালে সাধারণের ছিল কিনা জানি না। তবে এইটুকু জানিপাঠক বুঝে উঠলেই কবির মরণ নিশ্চিতমরে যায় কাব্যের অন্তস্থিত পুণ্যের সকল ধারাপাত। কবি সেইখানেই পতনের পাতা নির্মাণ করেন- আর না সামনে যাবার সমস্ত পথের পরিক্রমা। তখনই ঐশ্বরিক লেনদেন চুকিয়ে তার সাধ্যের সাধনা ঊর্ধ্বাকাশ থেকে পাতালে নেমে গড়াগড়ি দেয় পায়ে পায়ে। জীর্ণ পল্লবসম শব্দ কেবল ঝনঝন নিস্বনে আত্মক্রন্দনই বাজিয়ে যায় শীর্ণ আহ্বানে। তাই তো জীবনানন্দ কিংবা অলোকরঞ্জন বা বিনয় খোঁজে যুগের এই যুক্তবর্ণকালেও বহুদল বহুভাবে কোদাল অথবা শাবল হাতে খনন করে বনলতা সেনরবীর সোনার তরী। কিন্তু তরী কতটুকু ধরা দেয়! কতটুকু চিত হয়ে দাঁড়ায় ঠাকুর পো? ফলে পূজার অর্ঘ্য কাসার পাত্রে নিয়ে সারি সারি প্রার্থী খুঁজে বেড়ায় অলৌকিক ফুলের পাপড়ি- কোমল কমলের গন্ধ

সময়ে ঋজু রেজওয়ান সেই বহতার উত্তর পুরুষ। যদিও একই তুল্যে সামিল করে দাঁড়িপাল্লায় বসানোর স্পর্ধা নেই। তবু নিজেকে উহ্য রাখার যে সাহসসে সাহস তার আস্তিনে লুকিয়ে তিনি যেন আড়ালে বসে চেলে যাচ্ছেন গুঁটি- আপন নির্মাণ ভাস্মর করার নিরন্তর চেষ্টায়। ফলত প্রত্যক্ষ হয়একার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ পর্যটকই তিনিও তার কবিতা।

কবিতা আসলে এমনই। এমনই তো তার স্বভাবচলনবলনবাসকবির মস্তক খেয়ে নিশ্চপ ভূমিষ্ঠ হওয়া নশ্বরে অনশ্ব-অধিশ্ববদল হতে হতে বদলে যাওয়া পুনঃবদলের স্বর তুলে ফের ভাঙনের ভেতর দিয়ে গড়ার সঙ্গহীন রমণী। কবি তার সহন পাত্র মাত্রআগুন খেয়ে আগুনের জন্মদাত্রী। ঋজু তারই উদাহরণ। যখন কবিতার কাঠামোতে শব্দের পর শব্দ ঠেসে যুগের জঞ্জালযজ্ঞ কবিত্বের উন্মাদনায় সব কাঁপিয়ে-দাপিয়ে চুরমার করার আপ্রাণ দম্ভে ও দাম্ভিকতায় অহেতুক হাঁটছে রঙিন পোশাক অবয়বে মেখে- সেখানে অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার  ফেরোমন’ সাধন তপস্যার অনন্য উপহারনিভৃতচারী কবি-ঋজু রেজওয়ানের চিন্তার ফলক


এই যে আকাশতারÑ কিছুই গোপন নয়!
একথা হিমালয়কে জানায়পাহাড়-
শুধু বাগানকে...এবং সবাই রক্তদ্রোণ ফুলকেও

হঠাৎ একটি পাখি- যে পথে চললতাকেও...
সফট্লি পুরোটা শুনে...
যদি ঘুষ সাধিসে কী নিবেকে জানেহয়তো

যাই হোকআমি করব না। তবে ভালো হতো
না জানালে! জানলে অনেক কিছুনা জানলে...
সব মহৎ-ই স্বতঃসিদ্ধ। যদি গ্রীষ্ম অক্ষাংশ হইত!
তাইলে কি কইতাম তুষারের জাদু ছিলনয়তো!

যা করার ইচ্ছা ছিল- তা গোপনই রাখছিপ্রিয়!
Sapphire Fellow-
রা
কী করতে পারত- বা কী জানতনতুন ধাঁচের
এক মহাবিশ্বনিজের গোপনাংশ উন্মুক্ত করছে... (AXIOM [প্রকৃতি])



যদিও জানিগণিত এক নিরস মিউজিকখটখটে বাদ্যযন্ত্রের আয়োজনকিন্তু অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার ফেরোমন’ ভ্রমণে দেখি সরস এক দাবার চালে কঠিন অঙ্কগুলো কেমন জীবন্ত হয়ে জীবনের অনুসঙ্গের সঙ্গে মিশে অকৃপন আবেদন তৈরি করে অনুভবে রণন তুলছে সুপুষ্পের মতো। সঙ্গে মহাজাগতিক শূন্যবিন্দু Subject হয়ে আমাদেরকেই যেন আমাদের সামনে উপস্থিত করছে শূন্যরূপে এবং আপন রূপ খুঁজতে গিয়ে একটি শূন্যতায় মিলিয়ে যাচ্ছি নিমিশেযেখানে আমি কেআমি কিফিরে ফিরে আসছে আমাদেরই কাছে


পূর্বমাণ ১৩.৮ বিলিয়ন-
রহস্য (আবৃত) পুঞ্জীভূত (বিন্দু) গুরুভার!

বিস্ফোরিত বীর্যপাত-
যাত্রার শুরুতে... রূপান্তর-
পারমাণবিক কণার রাজশ্রী 
বাঁধা আর রাধা উপেক্ষা করেই
ছুটছে তো ছুটছেই-
মিলিয়ন/বিলিয়ন!

ফ্যালোপিয়ান টিউবে...লক্ষাধিক বৎসর
চল- তে...চল- তে...
অ্যাম্পুলার গ্যালাক্সিতে...
রাজশ্রী-হাইড্রোজেন মেঘে সঙ্গম-জঙ্গমে
জাইগোট হয়ে যাই

অতঃপর-একটা প্রোটন... এ ইলেকট্রন;
নিত্যকার নিউট্রনে বিভাজিত আমিসমূহে...
ব্লাস্টুলাগুস্টুলা মোরুলায়Ñ তৈরি হই!
হৈ/হৈ...বীন ছায়াপথে আমার প্রতিস্থাপিত

নিউক্লিয়াসে...ভাজ্য হতে হতে আমিই-
নিউক্লিয়ন- আদি ও অন্ত। প্রথমত বিন্দু। (প্রকৃত আমিবিন্দু)

গণিত যদি বিষয় হিসেবেরূপক হিসেবেঅভিব্যক্তির মাধ্যম হিসেবে যেকোনো রূপেযে কোনোভাবে কবিতায় ব্যবহৃত হয়তাকে আমরা গাণিতিক কবিতা বলি। গণিত যেমন কয়েক শাখায় বিভক্তগাণিতিক কবিতাও যে শাখায় রচিতসেইভাবে বিভিন্নরকমের হতে পারে- হতে পারে Arithmetical poetry, হতে পারে Algebraic poetry, হতে পারে Geometrical poetry, হতে পারে Calculus poetry, হতে পারে পরিমিতিক কবিতাসহ মিশ্র গাণিতিক কবিতাযেখানে একটি কবিতায় গণিতের একাধিক শাখার ধারণা একই সাথে ব্যবহৃত হয়। ঋজু রেজওয়ানের কবিতায় গণিতের এই প্যাটার্ন অনেকদিন থেকেই দেখছি। যদিও গাণিতিক কবিতার আবির্ভাব নতুন নয়তবু অনর্থক আমি/তুমিতুমি/আমি আর অপুষ্ট আবহমানতার ভিড়ে প্রায় অব্যবহৃত গাণিতিক কবিতা চর্চার আবহে ঋজু একনিষ্ঠ নিবিষ্ট- যিনি এই ফর্মে বিষয় নির্বাচণ করছেন গতানুগতিকতার বাইরে এমন কিছু বিষয়যা কবিতার অগ্রযাত্রাকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক হচ্ছে তার মনোষ্কাম- কবিতায় যোগ হচ্ছে আরওতর কিছু।


এ জায়গা থেকে বলা যায়অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার  ফেরোমন’ কাব্যগ্রন্থে কবি গাণিতিক প্যাটার্নে মাহাজাগতিক বিষয়- শূন্যবিন্দুর আত্মানুসন্ধানে যে বিরামহীন শ্রম লগ্নি করেছেনতা ফেলনা যায়নিআরও আরও ফলনে ভরেছে গোলা



বিন্দু এক অদ্বিতীয় বস্তু! আসলে-ই কি নির্বস্তু?
ক্ষুদ্রতম প্রাকৃত ধাঁধায়Ñ
আমিও অসংখ্যবারÑ ক্রমান্বিত ধারাবাহিকই,
শুধু বিভাজ্য অস্তিত্বে;

তুমি- অবিভাজ্য অবয়ব! বন্ধনসীমার ক্ষেত্র,
তলের গড়ন নেই-
প্রাকৃতিক বিভাজ্য অস্তিত্বে...নির্বস্তুক শূন্যতার
হেজিমনি আয়তন;

খুঁজছি- ক্লিভেজ আঁকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নির্বস্তু!! (হেজিমনি আয়তন)



এ গ্রন্থের আরও একটি কবিতা পড়তে পারিতার কবিতাকে আরও একটু অনুধাবনের পরিকল্পেযেখানে সংখ্যাটাকে দেখা যায় ব্যবহৃত বাস্তবতার বিষয় উপস্থানে ব্যবহারের মৌলিক ভাঙ্গা-গড়ার উপাত্তে-


সংখ্যাই প্রকৃত! আধিপত্যই- তার জগৎ
আরসেখানেই...নিরাপত্তা!
যেমন- মায়ের কোলপ্রিয়তমার স্পর্শপ্রেমিকের ঠোঁট
মনে আছে কিছু... কবে সংবাদ পড়েছ?

শেষ পৃষ্ঠার খবর?

তুমি হয়ত বা আমার মতন নও। তুমি হতে পার {৯ বা ১০}
গত ১ বৎসরে...
মোট শিশুজন্ম সংখ্যা বলতে পারবে?
দিন- ৩৬৫ বা মাস- ১২ঘণ্টা- ২৪মিনিটÑ ৬০
সেকেন্ড ৬০ পর্যন্ত। প্রতি সেকেন্ডেই এত এত শিশু! 

মৃত্যু সংখ্যাও খবর!

মতিউর রহমান২০ আগস্ট১৯৭১। ঞ-৩৩ বিমানবিধ্বস্ত
ক্রমে উন্মোচিত- অপারেশন সার্চলাইট
গণহত্যা ও গণকবর এবং বধ্যভূমিনির্যাতন কেন্দ্র মিলে...
৪২ জেলা- ২১ হাজার ৮শ ছাপান্ন
এইসব সংখ্যার নেতৃত্বে...(মুক্তিযুদ্ধ) স্বাধীনতার সংগ্রাম
তবুও- কিছু সংবাদ (টেলিগ্রাফ টাওয়ারে) হারিয়ে গেছে

সংখ্যাই হচ্ছে খবর!
.
.
জীবন একটি বড় সীসা। বালির কণাও! তোমার কাজই
বালিতে শস্যই উৎপাদন করা
তুমি জানোই না- যেকোনো শস্য ফলাতে...আগে ভাগে
ঠিক সিন্ধান্ত জরুরি। যতক্ষণ না- তুমি ঘরে ফসল তুলছ!

একত্রিত করোযারা-
গণনা করার উপায়টা জানে...এক! এক! এক! (আংশিকসংখ্যা)


গণিতের অঙ্কসংখ্যারকমচিহ্ন ও শব্দের সঙ্গে আমরা অহরহ পরিচিত নই বলে বা অবারিত আবহমানতার প্রচল শব্দাবলির সঙ্গে অধিক পরিচিত বিধায় ঋজু রেজওয়ানের এই কাব্যগ্রন্থের কোনো কোনো কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যে পৌঁছতে বিলম্ব হতে পারে বা ধরেও ছেড়ে যেতে পারে কিংবা বুঝে উঠতে কোথাও কোথাও কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু সামান্য সময় নিয়েকিছু শব্দের অনুসন্ধান অথবা জানার পর পাঠে বসলে তাকে যেন আরেক মাত্রায় আবিস্কার করা হয়যা সচরাচর না। যা দেখে আমরা অভ্যস্ততা নাকিন্তু কাব্যনুভবে কোথায় যেন টক-টক করে টোকা দেয়। একটা ছবির চিত্র ভাসতে ভাসতে ডুবে গিয়ে আবার ভেসে ওঠেÑভাসে। যা স্পর্শ করেও করা হয় না। ফলে কবিতার যে চিরকালিন ঘোমটাযে রূপ-রস-রহস্য-সৌন্দর্যযে আবেদননিবেদন-তা কখনো মূর্তকখনো বিমূর্ততার ভেতর দিয়ে পাঠক মনকে আন্দোলিত করে


এখানে উল্লেখ থাকা দরকার যেকবিতা পড়তে প্রস্তুতি লাগেকবিতার জন্য জানা লাগেসময় লাগে। কেউ কেউ বলেনকবিতা যদি খুঁড়ে খুঁড়েই পড়তে হয় তবে আর পড়া কেন! কবিতা আসলে খুঁড়েই পড়তে হয়আঁচড়িইে প্রাপ্তির নেশায় শব্দের পিছু ছুটতে হয়-এরপর প্রাপ্তি পাঠককে স্বার্থক করে তোলে। অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার  ফেরোমনএর কবিতায় ঋজু সেই আবছায়াটিই রেখেছেনযে ছায়া থেকে ছবিটি আলোতে আসতে একটি অপেক্ষা সগর্বে অপেক্ষা করছে-সেই পাঠকের জন্যযে পাঠক আবিস্কারের অবিরল চেষ্টায় বিসর্জন দেন আপন গান। সুতরাং কিছুটা পাঠ চর্চা না থাকলে এ কবিতাগুলোকে দুর্বোধ্য ঠেকতে পারে। যা প্রকৃতই দুর্বোধ্য নয়আমাদের জানার অভাবের মন্তব্যমাত্র।


একবার ঋজু রেজওয়ানের কবিতা বা অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার  ফেরোমন বা গাণিতিক বলয়াবৃত্ত কবিতা বুঝে উঠতে পারলেতার গাত্রমণিতে যে নিগূঢ় কাব্যিক রস সঞ্চিততার গহর থেকে যেকোনো পাঠককেই উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবেনিশ্চিত। তাই এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠোত্তর এ কথা বলেই অন্তে যেতে চাই যেআলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলো সরাসরি বস্তুকে চিহ্নিত না করে বস্তুর অন্য পিঠ দেখায়। এই অন্য পিঠ অপর পিঠ নয়এটি অনেকটাই অস্ফুট ইশারার মতো মনে হয়। আর এর বাস্তবতা গাণিতিক-গহনে মহাজাগতিক বিন্দু-বলয় হলেও লক্ষ্যে সে অর্জুনের মতোই স্থিরকোথাও না কোথাও পৌঁছে যাওয়ার ঈঙ্গিত দেয়। এটিই মূলত ভেঙ্গে গড়ার নিরলস শিল্প


ঋজু সে শিল্পকে স্কন্ধে নিয়ে অবিশ্রাম পরিশ্রম করে চলছেন। জানি না-এ শ্রম কোন ঘাটে গিয়ে ভিড়বে। তবে তাকে অন্য ঘাটের জলই মনে হয়যার সাক্ষ্য তার কবিতা। বিশেষত অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার ফেরোমনএর কবিতা আলাদা নয় বরং মহাজাগতিক টানেলে নিজের ধ্যানকে ঘুরিয়ে আনার তীব্র অভিজ্ঞতা

এটিকেও একেবারে অস্বীকারের হয়তো উপায় নেই যেনীরিক্ষাধর্মী বা ভিন্ন প্যাটার্নের কবিতা কিংবা ভাঙ্গা-গড়া চক্রের স্ট্র্যাগলের মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত কবিতারা কখনোই সমকালে অধিক পঠিত হয়ে ওঠে নাহয়ে ওঠে না জনপ্রিয়। তবে এও সত্য যেমহাকাল তাদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে-কখনো কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে পড়ে আমাদের সব বাধাঅনিহা ভেদ করে অভেদ্য স্পৃহায়যাকে আমরা বলি বাঁক বদলের কবিতা বা ভিন্ন বাঁকের কবিতা। ঋজুর কবিতা- সেই ভিন্ন বাঁকের হয়ে মহাকালের চ্যালেঞ্জ নিতেই অগ্রসর হচ্ছেনির্দ্বিধচিত্তে



আমি
নই
শৃঙ্খল;
বি-শৃঙ্খল
তুষারের কার্ভি
মুছে যায়! যেনাথিটি-
খুঁজছেন- টাইপ করুন। মহাগাতিক আশ্রয়!
প্রতিফলিত- অনুতাপ করুন এবং পুনরায় বুট করে অর্ডার ফেরত দিন

৩টি জিনিস নিশ্চিত- মৃত্যুট্যাক্স ও হারানো ডেটাযা ঘটুক অনুমান
তবুও আপনি খুঁজছেনস্মৃতির বাইরে আকাশ!
নীরবপর্দার মৃত্যুর জন্য-
অনুপস্থিতির
স্থিতি...তে
আপনার
ফাইল
Crash. (
ফিবোনাচ্চি Crash)

** 

বই: অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার  ফেরোমন

ধরণ: কবিতা
কবি: ঋজু রেজওয়ান
প্রকাশনি: ঘাষফুল
মূল্য: ২০০ টাকা


লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক

Post a Comment

0 Comments