না-বর্ণ নিস্তব্ধতা ।। আদিত্য প্রত্যূষ


0

কিছু শব্দের

বিস্ময়!

তারপর গরুটি গাছের ওপর দোলখায়

 

এরম  খে লা র

অবাঞ্ছিত স্রোত

 

তারুণ্য প্রতিবাদে নেই–

কোথায়? কোথাও কোনো আলো নেই কেন?

 

কুম্ভকর্ণের ভেতর দীর্ঘ ঘুমের নক্ষত্র 

 

কিছু চঞ্চলতা আয়নার আড়াল

 

যৌনাঙ্গ ঢা কা 

 

উন্মুখ নাভিকল 

 

যোনিপথ পায়ুপথে হাসির

খে লা   চ ল ছে

 

জংধরা মরচেপড়া আকাশ

 

পাখির উড়ালপথে সন্নিবিষ্ট করাতকল

 

পাছার কালসিট ধুয়ে উজ্জ্বল দাঁত 

ফোঁটা ফোঁটা মেহগনি আদর

 

উন্মুখ কদমফুল

লেবুরসে মশগুল স ম য় 

 

বন্দী আমিটার লেজে মোচড় দিতেই 

তেড়েফুড়ে ওঠে 

 

শৃঙ্খল ভাঙবার নয়

যে পাহাড়গুলো দাঁড়িয়ে 

 

তেঁতুলের জীভ থেকে লঙ্কার উন্মুক্ত লিংক

 

এই বিবর্ণতা স্পর্শ করুন 

চেখে দেখুন 

 

বর্ণহীন 

আমিহীন শরীরে উদ্বাস্তু মেঘের সময়

বিলম্বেই খসে যাবে 

 

তুমিহীন 

গন্ধ বিহীন প্রেমসংলাপে

আমরা 

 

সর্বহারার পাশে 

সর্বশ্রান্ত সময়ের কালসাপ

 

বল্কলহীন 

আদ্র উপহাস সমগ্র 

খোদাই হচ্ছে পাথর 

 

খোদাই হচ্ছে চোখ

চোখের পাতা

পাতায় পাতায় খুলে পড়া

 

সময়ের গভীর উল্লাস

 

আদ্রতা এমনই মায়াময়

পুঁজিবাদী হাওয়া

 

বুকের জানালা খোলা

শৃঙ্খল পায়ে

জাগায় উন্মাদনা 

 

শুষ্কতা এমনই ভয়

পুঁজিপতির চাকায়

 

মনের অলিন্দ

তন্ত্রের অন্ধকারে ঢাকা

জাগে মৃদু সম্ভাবনা 

 

কাতর আলকাতরা মোড়ানো সকাল

টুকরো টুকরো খুচরো হয়ে আসা সম্পর্ক

 

রাঙিয়ে 

 

 

আকাশটা ভাজ করে গুটিয়ে রাখে পকেট

 

 

একজন নিরুপমা

 

একটা নিরুদ্দেশ। 

 

ক্যানভাসে ছুটছে 

 

Post a Comment

3 Comments

  1. সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের ব্যাবহার, ছোট ছোট পঙক্তি এবং ঊর্মিল ভাবনার সূক্ষ্ম আলোকপাত সমৃদ্ধ মননের দাবি রাখে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ আপনাকে

      Delete