ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বেলাল চৌধুরীকে কারান্তরীণ হতে হয়েছিল। কারাগারে বেলাল চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। ভাষার মাসে বেলাল চৌধুরীকে আমরা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি। কবি বেলাল চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
আমি আর ফরিদ কবির কলকাতায় যাবো। ভিসার জন্য বেলাল চৌধুরীর কাছে পাসপোর্ট দিয়ে আমরা নিশ্চিন্তে বাসের টিকিট কেটে অন্যান্য প্রস্তুতি নেই। বিকেল বেলা ব্যাগ নিয়ে হাজির হই বেলাল ভাইয়ের ভারত বিচিত্রা অফিসে, ধানমন্ডি তিনে। সেখান থেকে পাসপোর্ট নিয়ে আমরা সোজা গাবতলি যাই বেনাপুলের উদ্দ্যেশে।
এই ঘটনা এখনো মনে গেঁথে আছে। ভারত বিচিত্রা পত্রিকা অফিস যেনো লেখকদের ‘ভিসা বিচিত্রা’ অফিসে পরিণত হয়েছিলো। সেই সাথে আড্ডার আরেক কেন্দ্রবিন্দু। অফিস ছুটির পরেও আড্ডা চলতো। অফিস ছিলো আপন ঢেরার মতো। সেখানে বেলাল ভাই টেবিলের আড়ালে ফ্লোরে পত্রিকা বিছিয়ে দিবানিদ্রাও দিতেন!
ভারত বিচিত্রায় চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন এক প্রয়াত কথাশিল্পীর জন্য (নাম প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকলা বলে দুঃখিত)। একদিন নিউজ প্রিন্টের প্যাড প্যান্টে লুকিয়ে ধরা পড়লেন দারোয়ানের কাছে। সামান্য নিউজ প্রিন্টের প্যাডের চুরির দায়ে চাকরিটা হারাতে হয়েছিলো তাঁকে। অথচ প্যাডটা হাতে করে প্রকাশ্যে নিলে কিছুই হতো না!
ভারত বিচিত্রায় আমাদের বেকার জীবনে দু’এক সংখ্যা পর পর কবিতা ছেপে বিলের ব্যবস্থা করতেন বেলাল ভাই। শুধু তাই নয়; আরো কত ভাবে যে তিনি স্মরণীয় আছেন, সে তালিকা অনেক দীর্ঘ।
২০১৮ সালে ২৪ এপ্রিল বেলা ১২টায় লাইফ সাপোর্টে থাকা বেলাল চৌধুরী ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মারা যান। প্রিয় মানুষটি চলে যাবার পর বিগত তিন বছরে বহুবার চেষ্টা করেছি, তাঁকে নিয়ে একটি স্মৃতিগদ্য লিখবো। কিন্তু পারিনি। প্রচুর স্মৃতি এলোমেলো করে দিতো। কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা লিখবো?
আজ লিখতে বসেও একই অবস্থা। তিনি একবার আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন, আরেকবার বিপদে ফেলেছিলেন। সেই দুটি ঘটনাই বলা যাক।
দেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের স্কুলের সমির স্যার অকারণেই (তার কাছে কারণ হচ্ছে শেখ মুজিব বিখ্যাত, সেই গুরুত্ব ভেবে) আমার নামের আগে ‘মুকুট’ পরিয়ে দিলেন আর আমিও ডাক নাম যুক্ত করে ‘নাগরা’ বসিয়ে নিলাম। তাই এখনও আমার শিক্ষা সনদগুলোতে ‘শেখ সাইফুল্লাহ মাহমুদ’ আছে। অথচ আমি ‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল’ নামেই লিখছি। এই দুলাল নিয়ে আমাকে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাকে আল মুজাহিদী, দৈনিক বাংলায় আফলাতুন, উত্তরাধিকার এবং রোববারে রফিক আজাদ আমার লেখা ছাপতে চাননি ‘দুলালে’র জন্য। তাদের ভাষ্য মিলন, রিটন, দুলাল, জুবেরী লেখক নামের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
তবে বেলাল (ভাই) চৌধুরী খুবই সহযোগিতা করেছেন। তিনি তখন সচিত্র সন্ধানী দেখবাল করেন। একদিন বললেন- ‘নাম নয়, লেখাটিই আসল। পৃথিবীর অধিকাংশ লেখকের নাম- হয়তো ছদ্মনাম, নয়তো পরিবর্তিত নাম’।
তারপর একের পর এক দেশ-বিদেশের লেখকদের নাম নামতার মতো বলতে শুরু করলেন। অমুক উপন্যাসিকের নাম এই, অমুক কবির মান এই। তাঁর স্মৃতিশক্তি, মেধা, পাঠ, পড়াশোনা, পান্ডিত্য দেখে আবারো মুগ্ধ হলাম।
সেদিন আমাকে একটি বই গিফট দিয়েছিলেন তাঁর কবিতার বই ‘আত্মপ্রতিকৃতি, স্থির জীবন ও নিসর্গ’। কাব্যিক নামটা আছো আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
আলোচনার পর বেলাল ভাই আমাকে সচিত্র সন্ধানীতে একটা প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের দায়িত্ব দিলেন। আমিও মাঠে নেমে পড়লাম। বিদেশে লেখকদের সিংহ ভাগ নাম দিলেন তিনি। আমি পাবলিক লাইব্রেরিতে দু’দিন বইপত্র ঘাটাঘাটি করলাম। সেই সময় দৈনিক বাংলা, ইত্তেফাক, সংবাদ, আজাদে ছদ্মনামে খ্যাতিমান সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা উপসম্পাদকীয় বা কলাম লিখতেন। যেমন, মানিক মিয়া নাম নিয়েছিলেন ‘মুসাফির’, জহুর হোসেন চৌধুরী লিখতেন ‘দরবার-ই-জহুর’, শামসুর রাহমান লিখতেন ‘মৈনাক’ নামে, গাফ্ফার চৌধুরী লিখতেন ‘তৃতীয় মত’ নামে।
এভাবেই ‘সময় বহিয়া যায়’ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখতেন ‘গাছপাথর’ নামে। ‘স্থান-কাল-পাত্র’ লিখতেন আখতারুল আলম ‘লুব্ধক’ নামে, ‘পার্শ্বচিন্তা’ লিখতেন আবু জাফর শামসুদ্দীন ‘বৈহাসিক’ নামে।
১৯৭৮ সাল। তখন সংবাদের অফিস বংশালে। তাদের কলামিস্টদের গোপন নাম সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা খাই দারোয়ানের হাতে। আমাকে সন্দেহজনক ব্যক্তি ভেবে অনেকটা ‘এরেস্ট’ করে টিনশেটের বারান্দায় আটকিয়ে রাখলো। খবর পেয়ে কাঁশতে কাঁশতে আর সিগারেট টানতে টানতে তীর-ধনুকের মতো একজন এলেন। তিনিই সন্তোষ গুপ্ত। কাঠগড়ায় জেরা চলছে। আমার এলাকার সাংবাদিক বজলুর রহমানের নাম বললাম। তখন বজলু ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়নি। পরে বেলাল ভাইয়ের কথা খুলে বললাম। সংবাদ থেকে সন্ধানীতে ফোন করলো। এবং আমি ‘জামিন’ লাভ করলাম।
সেই তথ্যবালি নিয়ে তৎকালীন সাপ্তাহিক সন্ধানীতে সুদীর্ঘ এক প্রচ্ছদ কাহিনী তৈরি করেছিলাম। ‘নামের নামাবলী’ শীর্ষক সেই লেখায় দেশী-বিদেশী হাজার খানেক লেখকের নামের নেপথ্যের চিত্র ও তাদের প্রকৃত নাম তুলে ধরা হয়েছিল। লেখাটি ছাপার পর চারিদিকে হইচই পড়ে যায়।
২০০৫ সাল। বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি- ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা, হংকং বইমেলা, টোকিও বৈশাখি মেলা, আমেরিকার ফোবানায়। সেই সময় বেলাল ভাই স্বরব্যঞ্জন থেকে আমেরিকা প্রবাসী একঅবঃ মেজরের একটি কবিতার বই বের করতে দেন। আমি সরল বিশ্বাসে মেজর খায়রুল আনামের ‘শয়তানের নয়নবারি’ বইটির পান্ডুলিপি না পড়েই প্রকাশ করি। সেই মেজর ঐ বইটা বের করেছিলো সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশ্যপ্রোণিত ভাবে। আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রত্যাশায়।
‘শয়তানের নয়নবারি’তে উল্টাপাল্টা কবিতা নামে গার্বেজ ছিলো, ছিলো ধর্মের কিছু অবমাননাও। সেই মেজর ৩০০ বই কিনে নিয়ে তা হলুদ মার্ক করে জাতীয় সংসদে সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিতরণের ব্যবস্থা করে। পরে তা জামাতী এক সাংসদ সংসদ অধিবেশনে আলোচনা করলে ইনকিলাব তা লোফে নিয়ে আমার জীবন বিপন্ন করে তুলে। প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক নিউজ ছাপা, প্রতি শুক্রবার বায়তুল মোকাররম থেকে আমার অফিসের দিকে মিছিল। অবশেষে কাটাবন মসজিদ থেকে আমিনীর নির্দেশে একটা মিছিল আজিজ মার্কেটে হামলা করে আমার অফিস ভাংচুর করে। এদিকে খালেদা সরকার বইটি নিষিদ্ধ করে আমার বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ, এনএসআই, গোয়েন্দা বিভাগের লোক লাগিয়ে দেয়। আমি বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যাই।
তখন ইনকিলাবকে থামানোর জন্য বেলাল ভাই তাঁর ভাই গিয়াস কামাল চৌধুরীকে দিয়ে বাহাউদ্দিনকে ফোন করে বিষয়টি ঠাণ্ডা করে। সেই সময় বেলাল ভাই আমাকে ফ্রান্সে চলে যাবার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি রাজী হয়নি।
এভাবে অনেক স্মৃতি জড়ানো বেলাল ভাইয়ের সাথে। সর্বশেষ দেখাটাও অনেক মজার। পুরানা পল্টনে দেখা। তিনি বায়তুল মোকাররমের দখিন গেটের উল্টো দিকে একটা খাবারে দোকানে আমাকে নিয়ে ঢুকলেন। দুপুরে খাবেন। বসেই দুই প্লেট ভাত অর্ডার দিলেন। আমি বললাম, আমার লাঞ্চ শেষ।
বেলাল ভাই বললেন, আরে মিয়া আমার জন্য দুই প্লেট। অথচ তাঁর বাসা পুরানা পল্টনেই। জাত বাউন্ডেলে বেলাল ভাইয়ের কথাটি আজ আবার মনে পড়ছে- ‘এটা সত্য, আমার বই ও বউ-ভাগ্য দুটিই খারাপ’। [দ্রঃ অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকারঃ লেখক হব সেই চিন্তা আমার মধ্যে ছিল না, দৈনিক কালের কন্ঠ, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ঢাকা।]
আড্ডাপ্রিয় বেলাল চৌধুরী প্রকৃত অর্থেই জীবনযাপনে এবং ভাবনার জগতে বাংলা কবিতার একজন বিশুদ্ধ বোহেমিয়ান বাউল। কৈশোর থেকে শুরু হয় এই বাউণ্ডুলেপনা। কিসের এক নিরুদ্দেশের নেশায় তিনি পাখির মতো উড়াল দিতেন। এগারো বছর ঘরগৃহহীণ,ঠিকানাবিহীন কাটিয়ে দিলেন কলকাতায়। ঢাকায় ফিরে এসেও প্রায়ই হুটহাট করে কোথাও ঘুরতে চলে যেতেন। কখনো দলবল নিয়ে কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের বাড়িতে, কখনো সুন্দরবনে, কখনো আবার সোনার গাঁয়ে। আমার সাথে আমার গ্রামের বাড়ি যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এধরণের একটি ঘটনা পাই কবি শিহাব সরকারের লেখায়ঃ
“ঢাকার অদূরে ধামরাই ভ্রমণ।… ধামরাইয়ের গ্রামে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে, স্বচ্ছ জলের প্রশস্ত নদীর তীরে ধানক্ষেতের আল ধরে এলোমেলো হেঁটেছি আমরা চারজন। বেলাল ভাই, মোহাম্মদ রফিক, মাহমুদুল হক ও আমি। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে গেলে আমরা চারজন ক্ষেতের পাশে ভরদুপুরে গলা ভেজাতে বসেছিলাম। একটু পর ভাদ্রের তালপাকা রোদকে ওই দিন জ্যোৎস্না বলে মনে হচ্ছিল”। [দ্রঃ উড়ে বেড়ানো, নীড়ে ফেরা বেলাল চৌধুরী/ শিহাব সরকার। দৈনিক সমকাল, ১২ নভেম্বর ২০২১, ঢাকা।]
জীবন্ত কিংবদন্তি বেলাল চৌধুরী দেশ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন, চাকরি করেছেন, ছেড়েছেন, আবার হারিয়ে গেছেন। তাঁকে অনেক মীথ আছে। আবার মিথ্যেও আছে। যেমন, বলা হতো তিনি গুপ্তচর। কারো কারো লেখায় পাই তিনি হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘বাংলাদেশের মধ্য পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের কবি বেলাল চৌধুরী সত্তরের দশকের হাংরি আন্দোলনের অন্যতম নায়কের মুকুট পরে প্রথম শ্রেণির যাত্রীর টিকেট পেয়েছিলেন’। [দ্রঃ বিরল ও মহত্ত্বর কবি বেলাল চৌধুরী/ ওবায়েদ আকাশ, রাইজিংবিডি.কম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮]
এব্যাপারে হাংরি আন্দোলনের নায়ক মলয় রায় চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘আপত্তিকর, বিব্রতকর এবং লজ্জাকর’। ফলে মনে হয়েছে তিনি হাংরি আন্দোলনের সাথে ছিলেন না। ছিলেন সুনীল-শক্তির সাথে।
বেলাল ভাইয়ের নানাবিধ গুণ ছিলো। লেখক হিসেবে, মানুষ হিসেবেও। ওবায়েদ আকাশের লেখা থেকে ধার করে দু’একটি উদাহরণ দিচ্ছিঃ
ক] বোর্হেসের মতো লেখকের কঠিন পাঠ্যেরও যে সাবলীল অনুবাদ তিনি করেছেন, তাকে মূলের কাছাকাছি রেখে বিবেচনা করা যায়। সেসময়ে মার্কেজ অনুবাদ করেও বিস্ময় জাগিয়েছেন। এছাড়া তিনি অনুবাদ করেছেন ডিলান টমাস, অক্তাভিও পাজসহ আরো অনেকের সাহিত্যকর্মের।
খ] এক আশ্চর্য রকম বৈচিত্র্যময় জীবনের অধিকারী কবি বেলাল চৌধুরী তাঁর জ্ঞান, সুমধুর ভাষার ব্যবহার ও হৃদয়ের প্রশস্ততা দিয়ে যেমন জয় করে নিয়েছিলেন দেশ– বিদেশের খ্যাতিমান নক্ষত্রপুঞ্জের মন, তেমনি সরল ভালোবাসার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন কাঁচা বাজারের সবজিবিক্রেতা সুলতান মিঞা থেকে শুরু করে পুরানা পল্টন-সেগুনবাগিচা এলাকার পুরাতন বইয়ের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিঞার মতো অতি সাধারণ মানুষদের।
সেই সাথে গুন্ডার গ্রাস, অক্টাভিও এদের সাথেও ছিলো বন্ধুত্ব। ফলে তাঁর বন্ধুত্বের পরিধি ছিলো বিশাল। আবার তরুণতম লেখকটিকেও আপন করে নিয়ে সাহায্য করতেন নিঃস্বার্থে।
বেলাল ভাইয়ের জীবনে যেমন ছিলো গৌরবোজ্জ্বল পজেটিভ ঘটনা, তেমনি লজ্জাজনক নেগেটিভও ঘটনাও ছিলো। তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক। এক বছর জেল খেটেছেন বঙ্গবন্ধুর সাথে। আবার পনেরোই আগস্টের পর খন্দকার মোশতাকের প্রাইভেট সেক্রেটারি ছিলেন। এব্যাপারে বেলাল ভাইকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বিব্রতবোধ করে এড়িয়ে গেছেন। এজন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবার্ষিকীর উদযাপন কমিটি থেকে একবার বাদ দেয়া হয়েছিলো। অথচ পনেরোই আগস্টের বেদনা নিয়ে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম- বত্রিশ নম্বর।
লেখকঃ কবি ও প্রাবন্ধিক
১২ নভেম্বর, ১৯৩৮-২৪ এপ্রিল, ২০১৮
0 Comments