রাশিয়ার কবিতা ।। ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি ।। অনুবাদ: রুম্পা রুমানা


জর্জিয়ার ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নেওয়া সোভিয়েত রাশিয়ার কবি ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি। তিনি একাধারে কবি, রাজনীতিক, নাট্যকার ও অভিনেতা। সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে কারাগারে অন্তরীন হয়েছিলেন। প্রায় এক বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার প্রথম কবিতার বই প্রকাশ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। ভ্লাদিমির ১৪ এপ্রিল ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আত্মহত্যা করেন। তাঁর দুটি কবিতার অনুবাদ করেছেনরুম্পা রুমানা। 

রাত একটা অতিক্রান্ত হয়েছে 

গভীর রাত্রি

নিঃসন্দেহে তুমি ঘুমিয়ে গেছো 

নিশাচর রাতে

বৃত্তপথ সেজেছে রৌপন্য কারুকার্যে

তড়িঘড়ি নেই 

অভিপ্রায়ও নেই 

জরুরী তারবার্তা পাঠিয়ে তোমাকে বিরক্ত করার

*

সমুদ্র তলিয়েছে অতল ঘুমে

তাদের মতে,

ঘটনার সকল প্রমাণাদি রহিত হয়েছে 

ভালোবাসার তরী বাস্তবতার যাঁতাকলে হয়েছে বিলীন 

উভয়ই আমরা নিশ্চুপ

কি প্রয়োজন ময়নাতদন্তের অতীতের দুঃখ-বেদনার ক্ষতগুলোকে ? 

*

বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখো, 

ঘুমের অতলে তলিয়েছে ধরণী

রূপালী নক্ষত্রপুঞ্জের অর্ঘ্য দিচ্ছে রাত আকাশের বেদীতে

এমন সময় কেউ একজন জেগে ঠে

করে আলাপন

সময়ঘটনাবিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে । 

 

শোন 

শোন!

নক্ষত্র জ্বলে উঠলে আকাশে

কেউ তাদের অনুভব করছিলো

কেউ প্রার্থনা করছিলো তাদের আগমন 

কিংবা কেউ চাচ্ছিলো হীরক খচিত ঝলমলে নিঃসরণ

নিঃশ্বাস দ্রুততর হয়,

শেষ বিকেলের ধূলি ঝড়ে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে

প্রবলবেগে সে ঈশ্বরের নিকট পৌঁছে যায় 

তোমধ্যে বিলম্ব হয়ে গেছে ভেবে ,

অশ্রুসজল চোখে চুম্বন করে ঈশ্বরের বাহুল হাত

করজোড়ে নিশ্চয়তা প্রার্থনা করে নক্ষত্রের উপস্থিতি চেয়ে

ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বলে,

নক্ষত্রবিহীন সময় হবে অগ্নিপরীক্ষার মতন,

উদ্বিগ্ন হয়ে সে পায়চারি করে

অথচ শান্ত মুখশ্রী

কোন একজনকে ডেকে বলে,

"সমস্তই ঠিকঠাক,

কিছুতে তোমরা এখন নও ভীত,

নয় কি ?"

শোন !

নক্ষত্র জ্বলে উঠলে আকাশে

কেউ তাদের অনুভব করছিলো 

প্রতি সন্ধ্যায় অন্তত একটি নক্ষত্রের জ্বলে ঠা অপরিহার্য

ঐ নির্মিতির চূড়ায়

Post a Comment

0 Comments