সম্প্রতি বেফাঁস মন্তব্য করা কল রেকর্ড ফাঁস হওয়া এবং তারফলে ব্যক্তি সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনে হাঁসফাঁস থেকে বাঁচতে চারটি কৌশল। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত জীবনে আরোপ করতে চান তবে নিজ দায়িত্বে করতে হবে। কোন ঝুঁকি দেখলেই এই লেখক তখন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে-কোন কিছু বোঝতে পারবে না।
১। আগের দিনে মানুষ প্রেমে পড়লে গভীর রাতে গিয়ে জানালায় টোকা দিতো। তারপর এক পর্যায়ে সখ্যতা অনেকটা গড়ালে হয়তো রাতের আধাঁতে চুপিচুপি বাঁশ বাগানে গিয়ে দেখা দেখা করতো-কথা বলতো। সাহিত্য ও ব্যক্তি অনুভূতিতে জানা যায় সেই সাক্ষাতের অনুভূতি নাকি ছিল অবর্ণনীয়। কেবল স্বাক্ষাতকারীরাই সেই অনুভূতি পেতো। আপনিও ফিরে যান সেই সোনালী অতীতে। তবে যাবার সময় মুখে মাস্ক পরে নিতে ভুলবেন না। কারও সামনে পড়ে গেলেও যেন চিনতে পারার আগেই সটকে পড়তে পারেন। কে আন চায় মান-সম্মান নিয়ে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন রক্ষা করতে?
২। চিরকুট হতে পারে অন্য আর একটি বিকল্প। কারণ দুজনের সম্মতিতে চিঠি আদান প্রদান হলে ফাঁস হবার ভয় নেই। আর যদি থেকেও থাকে তবে নিজের একটি ছদ্ম নাম ঠিক করে নিন। অন্যদিকে যার সাথে চিরকুট আদানপ্রদান হবে তারও একটা ছদ্ম নাম ঠিক করে নিন। তাতে করে যদি কখনও সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে তখন ঝারা অস্বীকার করবেন এই নাম আমার নয়! যদিও হাতের লেখা মিলিয়ে নেবার একটা ভয় থেকে যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি ডান হাতি হয়ে থাকেন তবে বাম হাত দিয়ে লেখার অনুশীলন করুন অথবা উল্টোটা। তাতেও যদি সমস্যা মনে হয়-অনিরাপদ বোধ করেন তবে একজন সহকারী রেখে নিতে পারেন। কোন কারণে ধরা পড়ে গেলে সহকারীর ওপর দিয়ে চালিয়ে দিবেন।
৩। সঙ্গীকে যদি বিশ্বাস করতে পারেন তবে ভিড়িও কল করুন। যা ইচ্ছে দেখান-দেখেন, করতে পারেন বিশেষ অঙ্গভঙ্গিও। আর মুখে কোন কথা না বলে মার্কার আর হুয়াইট বোর্ড নিয়ে বসে যান। সাউন্ড মিউট করে যা ইচ্ছে লিখে যান আর মুছে ফেলুন। ধরা খাবর ভয় একেবারেই কম। তাছাড়া এখন ভিডিও মিটিং অ্যাপগুলোতে আছে স্ক্রিন শেয়ারের সুবিধা। সেক্ষেত্রে একটু প্রযুক্তি সচেতন হলে নিজের স্ক্রিন শেয়ার করে সেখানেই ছবি এঁকে লিখে অনেক কিছু বোঝাতে পারেন।
৪। অগত্য যদি ধরা খেয়েই যান তবে মানসিক ভারসাম্যহীনতার অভিনয় করুন। কারণ মানসিক ভারসাম্যহীন হলে মানুষের সহানুভূতি পাওয়া যায়। আর তার বিরুদ্ধে আইনও কার্যকর হয় না।
0 Comments