শেষ সূর্যাস্তের মায়া ।। ইশরাত জাহান

জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে ওয়াশিংটন শহরে। মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। সরকারের ঘোষণার অপেক্ষায় থাকেনি মানুষ-নিজেরাই নিজেদের ঘরে আবদ্ধ করে রেখেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে মজুত করে বসে গিয়েছে ঘরে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যায় না। আবার চাইলেও বাইরে যাওয়া যায় না। বিশেষ অনুমোদন নিয়ে যেতে হয়। পরিবারের একজনের বাইরে যাওয়ার অনুমোদন মিলে তিনদিনে একবার। ফিরে এসেও জানাতে হয় কখন ফিরেছে। হাসপাতালগুলোর বাইরেও কিছুকিছু জায়গায় আবাসিক হোটেলগুলোতে অস্থায়ী সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গত এক মাসের কম সময়ে শুধু ওয়াশিংটনেই মারা গিয়েছে দেড়শ’ উপরে। সারা যুক্তরাষ্ট্রে ছয়শর অধিক। ইতালিতে এক দিনেই মারা গিয়েছে আটশর অধিক। চীন থেকে ছড়ালেও এখন পৃথিবী জুড়ে একশ নব্বইটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কয়েক হাজার। আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়াই দুরূহ। ডাউন টাউনের মদের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চারদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ ভয়াবহতা। যুদ্ধের সময়ও মানুষ তবু বাইরে যায় সতর্ক দৃষ্টি রেখে-করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নগরীতে মানুষকে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে বাইরে যেতে দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক আর নিরাপত্তা গাউন পরে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোকে আর এই গ্রহের প্রাণি বলে চেনা যাচ্ছে না। জনশূন্য শররের রাস্তাগুলোকে রাতের আলোতে শান্ত নদীর মতো মনে হয়-যেন ধীর গতিতে বয়ে চলছে। মাঝে মাঝে নিরাপত্তা পুলিশের গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুল্যান্সেকে মনে হয়ে মালবাহী নৌকা। 

দেশে দেশে আহাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। মৃত্য চিন্তা মানুষকে ঘিরে ধরেছে। আতংকিত মানুষ অসহায় আত্মসমর্পণে আকাশের দিকে চেয়ে সাহায্য কামনা করছে। রাষ্ট্র নেতাদের পরিস্থিতি সামলাতে ব্যবস্থানিতে তোড়জোড় চোখে পড়ার মত। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে নির্দেশনাসহ হাজির হচ্ছেন। সকল ধরেনের প্রতিরোধ আর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিয়েও কাজ হচ্ছে না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে ভাইরাস তার সর্বনাসা ধ্বংস থাবা বিস্তার করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানচিকিৎসা শাস্ত্রসামরিক শক্তি কিছুই করতে পারছে না। ইতালির রাষ্ট্র প্রধানতো বলেই দিয়েছেন-একমাত্র আকাশের কাছেই সমাধান রয়েছে। এমন অসহায় আত্মসমর্পন করে স্রষ্টার মুখাপেক্ষি সরণকালে কোন পরাক্রমশালী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র নেতার মুখে কেউ শুনেছে বলে মনে করা যায় না। অথচ কি মহাপরাক্রমে রাষ্ট্রগুলো মারনাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়-যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। নিশ্চিহ্ন করে দেয়হাজার বছরের জনপদইতিহাসমানুষসভ্যতা। শিশুদের কান্নাবৃদ্ধের আর্তনাদনারীদের আহাজারিপুরুষদের অসহায় মুখ-কিছুতেই কোন বিকার চোখে পড়ে না যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র নেতাদের। তুমুল বিক্রমে যুদ্ধাস্ত্র-সরঞ্জাম নিয়ে ধেয়ে চলে উড়োজাহাজ। 

 

কয়েক হাজার মৃত্যু। তাতেই ভিত নড়ে উঠেছে পৃথিবীর। অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের ত্রিশ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ইরাকে মেরেছে দশ লক্ষের কাছাকাছিআফগানিস্থানে মেরেছেভিয়েতনামে মেরেছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ। দিনের পর দিন নিরুত্তাপ ভাবে মানুষ মরছে কাশ্মীরে। কারও কোন বিকার নেই। তবে মাত্র কয়েক হাজারে কেন দোলে উঠলো পৃথিবী! রক্তপিপাসা কাতর পাগলাটে রাষ্ট্র নেতা কিংবা জেনারেলদের এই মৃত্যুতে কোন হাত নেই বলেকিংবা আতংকিত এই ভেবে যে-নিজেও নিরাপদ নয়প্রকৃতি খেয়ালি নয়। প্রকৃতি সব সময় সাম্যবস্থা পছন্দ করে। প্রকৃতিও যে একটা শক্তিসেও যে একটা পক্ষ সেটা মনে করিয়ে দিতেই মাঝে মাঝে হয়তো তার কার্যক্ষমতা দেখায়। এবং সেই কার্যক্ষমতা যে যুদ্ধংদেহী মানবকূলের চেয়ে ভয়াবহ-বিভৎস সেটা মনে করিয়ে দেয়।   

 

ওয়ালমার্ট থেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও আজ অনেকেই খাবার ছাড়াই ফিরে এসেছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী কিনে নগরবাসী সংরক্ষণ করায় খাদ্য পণ্যের এমন সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নগর মেয়র ঘোষণা দিয়েছে-কাল থেকে বয়োজেষ্ঠ নাগরিকেরা সকালে সবার আগে দুই ঘন্টা খাবারের দোকানগুলোতে ঢুকার অগ্রাধিকার পাবে। তারপর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মোক্ত করা হবে।

 

ডেইটন জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে চলছে দশ জন ডাক্তার আর কুড়ি জন নার্স। একজন সুস্থ হয়ে উঠছেন তো দুইজন নতুন রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে। এই করে করে রোগী বেড়ে এখন তা দাঁড়িয়েছে দুইশ। ডাক্তার-নার্সেদের সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ অসুস্থ বোধ করায় তাদের পর্যবেক্ষণে রেখে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এমিলিও ভাবছিল ছুটি দরকার। টানা কাজ করে আর গত কয়েক দিনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু দেখে দেখে হাপিয়ে উঠেছে। তবে আজ সকালেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে। এখন আর সে ছুটি নিবে না। করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ সকালেই ভর্তি হওয়া এক রোগী তার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে। এখন যত অসস্তি আর অসহ্যই লাগুক-তাকে থাকতেই হবে। সারিয়ে তুলতে হবে ট্রিগানকে। 

 

ট্রিগান কর্ড-বছর আঠাশের এক যুবক। এমিলির সমবয়সী। একই মহল্লাতে বড় হয়েছে তারা। স্কুল টিমে ট্রিগ ভালো বেসবল খেলতো। একই সাথে এগারো গ্রেড পর্যন্ত পড়েছে। এমিলি ট্রিগানের প্রতি অনুরক্ত ছিল। সে কথা ট্রিগান জানত-কিন্তু ট্রিগান পছন্দ করেনি এমিলিকে। ট্রিগান প্লেবয় ধরণের ছেলে। এ্মিলির মতো সাদাসিদে আর বারে অনিহা যে মেয়ের তাকে পোশাবে না ট্রিগানের-এ জানা কথাই। সপ্তাহ শেষে বারে পান করে নিয়ন্ত্রণহীন নাচ আর শেষ রাইডে বাড়ি ফেরা ছেলে ট্রিগান।

এমলি অকেটা গেয়ো ধরণের। হইহুল্লোড় থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখা, পানে অনাসক্ত এক সাদামাটা মেয়ে। সত্যি বলতে ছোট বেলা থেকেই পানের অভ্যেসটা গড়ে উঠেনি। মুসলিম বাবা আর প্রটেস্ট্যান্ট মা ঘরে। বাবা একজন ক্লিনার, মা পোস্ট অফিসে কাজ করেন। তবে এমিলির কোন ধর্মই এখন অব্দি পালন করা হয়নি।

এমলি অকেটা গেয়ো ধরণের। হইহুল্লোড় থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখাপানে অনাসক্ত এক সাদামাটা মেয়ে। সত্যি বলতে ছোট বেলা থেকেই পানের অভ্যেসটা গড়ে উঠেনি। মুসলিম বাবা আর প্রটেস্ট্যান্ট মা ঘরে। বাবা একজন ক্লিনারমা পোস্ট অফিসে কাজ করেন। তবে এমিলির কোন ধর্মই এখন অব্দি পালন করা হয়নি। আসলে পালন করবার সময় হয়ে উঠেনি। নার্সিং পাস করে সবে ডেইটন হাসপাতালে যোগ দিয়েছে। এগার গ্রেডের পর ট্রিগ স্কুল ছেড়েছে। আজ গ্যাস স্টেশনে কাল ওয়ালমার্ট পরশু এক রেস্টুরেন্ট করে দিন পার করছে। যা আয় করে সপ্তহে শেষে বান্ধবী নিয়ে ঘুরেমদের বিল চুকিয়ে আবার নতুন সপ্তাহের খরচের জন্য লেগে পড়ে। এমিলি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল-স্কুলটা না ছাড়লে হতো নাপড়াটা শেষ করে কোন কাজে যোগ দিলেও তো পারতে। ট্রিগ উত্তরে বলেছেএত ঋণ করে পড়ার কোন মানেই হয় না। যে ভাবে চলছে চলুক-চলে যাবে। অনেক দিন আর দেখা হয়নি। একটা বারের কাজ নিয়ে নেভাডা চলে গিয়েছিল। আজ সকালেই দেখা। মৃত্যুর সাথে লড়ছে। বোঝতেই পারেনি। যখন বোঝতে পেরেছে-দেরি হয়ে গিয়েছে। 

 

চিকিৎসকরা সার্বোক্ষণিক দেখাশুনা করছে। এমিলি ট্রিগকে বেশি সময় দিচ্ছে। তবে অবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না। ফুসফুসের অবস্থা অনেক খারপ হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক শক্তিশালী আর দৃঢ় মনেবলের কারণে ট্রিগ ভেঙ্গে পড়ছে না। ট্রিগ বলেছে এবার সুস্থ হলে আর নেভাড়ায় ফিরে যাবে না। মহল্লাতেই গাড়ি মেরামতের দোকান দিবে। তবে শেষ কথাটা শুনার পর এমিলির অনেক ফুরফুরে লাগছে-আবার ভয়ও হচ্ছে। কাশতে কাশতে অনেক কষ্টে ট্রিগ বলেছেবিয়ে করবে বলে মন স্থির করেছে। এমিলি যদি আগের মতো এখনও তাকে পছন্দ করে তবে ট্রিগ তাকে প্রপোজ করতে চায়। ভিতরে চাপা আনন্দ কিন্তু মুখে ভাবলেশহীনতা ধরে রেখে এমিলি বলেছেকেন-সেবার প্রতিদান দিতে চাও। অনেক কষ্ট নিয়েও মুখে হাসি ধরে রেখে ট্রিগান বলেছেসেবার প্রতিদান হয় না এম। তুমি যা করছ তা এক জীবনে শোধ করবার মতো নয়-শোধ করা যায় না। হাসির রেখাটা হঠাৎ মিলিয়ে গিয়ে বিষন্ন মুখে বললোজান এম-জীবন সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে গিয়েছে। মৃত্যুকে আমি কাছ থেকে দেখছি। এবার যদি বেঁচে যাই আর তোমাকে আমার পাশে পাইসেটা হবে আমার পরম সৌভাগ্য। আমি দুঃখিততোমাকে আমি চিনতে পারিনি। অন্য মোহে জড়িয়ে ছিলাম এত দিন। বলতে বলতে চোখের কোন বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।


অজান্তেই এমিলির চোখও ঝাপসা হয়ে এসেছে। গ্লাভস পরা হাতেই ট্রিগানের হাতটা নিয়ে জোরে একটু চাপ দিল। সামলে নিয়ে বললোতুমি না অনেক সাহসি। এতটা ভেঙ্গে পড়তে হয়কিছুই হবে না তোমার। আমি তোমার পাশে আছি। থাকবো। তুমি ঠিক হয়ে যাবে। জান তোনিউইয়র্কেকভিড-১৯র টিকা পরীক্ষা্মূলক ভাবে মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। খুব বেশি দূরে নয় আরকোভিড-১৯ কে জয় করবেই মানুষ। রাতের খাবার খেতে বের হয়ে এমিলি স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেছে। বলেছেহে আল্লাহঈশ্বরকি নামে ডাকবো তোমায় আমি জানি না। বাবা আল্লাহ বলে আর মা ঈশ্বর বলে। আমি বিশ্বাস করি তুমি আছ। কোন দিন তোমার কাছে কিছু চাইনি। আজ চাইছি। তুমি ট্রিগানকে সুস্থ্য করে দাও। ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছ-কাছে পেতে দাও।   

 

সকালে কাশি আর গলা ব্যাথা নিয়ে এমিলির ঘুম ভাঙ্গে। সন্দেহ হওয়ায় এমিলিকে আলাদা রাখা হয়। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যায় এমিলি কোরনায় আক্রান্ত হয়েছে। খবরটা শুনে বিষন্ন হওয়ার বদলে এমিলি ঠোঁট স্ফিত করে একটু হাসলো। সে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেছিলস্রষ্টা যেন ট্রিগানকে তার কাছে ফিরিয়ে দেয়। তবে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়নি-বরং উল্টোটা হয়তো গৃহীত হয়েছে। কারণ এতক্ষণে এমিলি বোঝতে পেরেছেট্রিগানকে আর ফেরানো যাবে না। এমিলিকেই ট্রিগানের কছে নেয়ার ব্যবস্থা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আরও দুদিন পার হয়ে গেল। দুজনের অবস্থাই অবনতির দিকে যাচ্ছে। আজ আর কিছুতেই মন বসছে না এমিলির। তার একটা ইচ্ছার কথা জানাল ট্রিগানকে। এমিলি ইয়াকিমা পার্কে ট্রিগানের হাত ধরে একটু হাঁটতে চায়। সূর্যাস্ত দেখতে চায়। বিশেষ অনুমোদন সাপেক্ষে একজন ডাক্তারসহ ইয়াকিমা পার্কের দিকে বেরিয়ে গেল অ্যাম্বুলেন্স। 

হঠাৎ শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেল এমিলির। ডাক্তার আসতে আসতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো এমিলি।

পড়ন্ত বিকেল। মার্চের শেষে শীত কমে এসেছে। বিকেলের সূর্য এখনও আলো দিচ্ছে। ফুরিয়ে যাবার আগে মোম যেমন দপ করে জ্বলে উঠে-সূর্যটাকেও তেমনি মনে হচ্ছে। ডুবে যাবার আগে জ্বলজ্বল করছে। শীতের প্রকোপে পাতাহীন গাছগুলোকে বিষন্ন দেখালেও-প্রকৃতিকে বিষন্ন লাগছে না। আকাশ নীলে ছেয়ে আছে। শীতের আগে আগে চলে যাওয়া পাখিরা আবার ফিরে আসছে পরিচিত আঙিনায়। ধিরে বাতাস বইছে। লেকের জমা বরফ গলে স্বচ্ছ পানি। বাতাসে তিরতির করে ছুটে বেড়াচ্ছে লেকের এপাড় থেকে ওপাড়। সূর্যও ধেয়ে চলছে-বোধ হয় তাড়া আছে। এই যে দুনিয়াজোড়া এত হুলস্থুলএত অপচ্ছায়াএত মৃত্যু-তাতে প্রকৃতির কোথাও কোন ছেদ নেই। সবই আগের নিয়মেই চলছে। ঠিকঠাক। ঘুরে দাঁড়াবে আবার পৃথিবীর মানুষ। শুধু কেউ কেউ নিরুদ্দেশ হবে। সূর্য দিগন্ত রেখায় চলে গিয়েছে লাল হয়ে আছে। এমিলি ট্রিগানের দিকে তাকালো-ট্রিগান এমিলির দিকে। পৃথিবীকে বড় মায়া মায়া লাগছে। মাস্ক খুলে পরস্পরকে চুম্বন করলো। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে। হঠাৎ শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেল এমিলির। ডাক্তার আসতে আসতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো এমিলি। অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আসতে আসতে ট্রিগানের নিশ্বাসও বন্ধ হয়ে গেল।  


Post a Comment

0 Comments