স্যুইসাইড ব্রিজঃ মৃত্যু যে ব্রিজ থেকে ডাকে

সুইসাইড ব্রিজ, পোর্ট এলিজাবেথ, দক্ষিণ আফ্রিকা 

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর এক মিলিয়নেরও বেশি সফল আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সে হিসাব অনুযায়ী প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে।

সুইসাইড ব্রিজ নামেই পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথের একটি ব্রিজ। এ পর্যন্ত ব্রিজটি থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে ৮৭ জন।

পোর্ট এলিজাবেথ থেকে কেপটাউন যাওয়ার পথে চোখে পড়বে ব্রিজটি। এর সৌন্দর্য্য যে কাউকে মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখলেও এটি স্থানীয়দের কাছে এক আতঙ্কের নাম। ৪৬০ ফুট উচ্চতার ব্রিজটিকে আত্মহত্যার জন্য বেছে নেন আত্মহত্যাপ্রবণরা। এ পর্যন্ত বেশকিছু মানুষ সেখানে আত্মহত্যা করার ঘটনায় ব্রিজটি পরিচিতি পেয়েছে সুইসাইড ব্রিজ নামে।

১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর নির্মিত হওয়ার ১২ দিন পরই ঘটে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা। আর সর্বশেষ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। ব্রিজের আশপাশে মানুষ চলাচল কম থাকায় আত্মহত্যার জন্য ব্রিজটিকে বেঁছে নেয়া হয় বলে ধারণা অনেকের।

২০০৩ সালে জোহানেসবার্গের এক সাংবাদিক আত্মহত্যা রোধে একটি ফান্ড গঠন করেন। পরে সেই ফান্ডের অর্থে ব্রিজটিতে বসানো হয় ক্যামেরা ও টেলিফোন সেন্টার। এছাড়া ব্রিজের ওপর সতর্ক নজর রয়েছে পুলিশেরও। তবে এরপরও বন্ধ করা যায়নি আত্মহত্যার ঘটনা।

পরে আত্মহত্যা রোধে ২০১৩ সালে ব্রিজের ওপর বসানো হয় ২.৭ মিটার উচ্চতার নেট। তবে এতসব কিছুর মধ্যেও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষ আত্মহত্যা করেই চলেছেন।

উত্তর লন্ডনের আর্চওয়ে ব্রিজ 

এরকম ব্রিজ শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায়ই নয়। এই তালিকায় আছে আছে উত্তর লন্ডনের আর্চওয়ে ব্রিজের নামও। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ এ পর্যন্ত আত্মহত্যার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান। সালে নির্মাণের পর এ পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে এই ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে। সুইসাইড ব্রিজের মধ্যে আরও রয়েছে চীনের নানজিং ইয়াংজে রিভার ব্রিজ, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট গেট ব্রিজ, আমেরিকার সানশাইন স্কাইওয়ে ব্রিজ, ইংল্যান্ডের হামবার ব্রিজ, আমেরিকার করোনেডো ব্রিজ উল্লেখ্য।


স্কটল্যান্ডের ওভারটাউন ব্রিজ 

শুধু মানুষই নয়। কুকুরকেও দেখা যায় আত্মহত্যা করতে। এমনই একটি ব্রিজ রয়েয়ে স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটনের মিল্টন গ্রামের কাছে ওভারটাউন ব্রিজ। ষাটের দশকে নির্মাণের পর এখন পর্যন্ত ছয়শত কুকুর আত্মহত্যা করেছে।

Post a Comment

0 Comments